শুনুন আমার ছেলে বিতান । প্রফেসারী করে দিল্লীর আই আই টি তে । ওর চাকরী করার শখ কোনোদিনই ছিল না । সব সময় আমাদের কে বলতো গবেষণা করবে । তাই প্রফেসারী করে আর নিজের গবেষণার দেখভাল নিজেই করে । মা হিসেবে ওর খাওয়া দাওয়া যত্নাত্তির টুকুতে কোনো ত্রুটি রাখিনি । । সবসময় ওর সাথে বন্ধুর মতো মিশেছি । ওকে বোঝার চেষ্টা করেছি । এটা আমার কর্তব্য বন্ধুর মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মেশা ।তাই আমাদের মা বেটার সম্পর্কটা বেশ জমকালো । হুম পড়াশোনাটা ওর বাবা দেখে । আমি পড়াশোনাতে ভালো ছিলাম না । যদিও ভূগোলে স্কুলে সর্বোচ্চ নাম্বার টা আমি পেতাম । ওই আঁকতাম প্রচুর । ক্লাস এগারো বাবা দেখলো ছেলে । সুপাত্তর পেয়ে গেল । ঘটা করে দিল বিয়ে । বিয়ের পর স্কুল ছেড়ে দিলাম ।যদিও আমার উনি বলেছেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। ভালোবাসা , ভালো থাকার একটুও কমতি নেই । হল একবছরের মধ্যে বিতান । এই টি আমার একটাই মানিক্য । সব শুধু এই আমার পুত্তুর কে ঘিরে । সু পুত্তুর ও তত্তর করে বেড়ে উঠলো । আমার ও বয়স বাড়তে লাগলো । তবে স্কুল ছেড়েছি সে তো হলো । কিন্তু ওই স্কুল জীবন এর বন্ধু গুলো ওই বদমাশ গুলো কে কি আর ভোলা যায় বলুন ? কিন্তু কত কত বছর যোগাযোগ নেই । ফোন আমার কাছে আছে কিন্তু ওদের কারো নাম্বার আমার কাছে নেই । মনে তো পড়ে কিন্তু এই যোগাযোগ এর পথ খোলা নেই ।
(ফোনের আওয়াজ)এক মিনিট থামুন ।
ফোনটা ধরেই দেখলাম ছেলের ফোন । ধরলাম ফোনটা । চিৎকার করলো হতভাগা । উফফ কান জ্বালিয়ে দিল । বন্ধু তো, তাই একেবারে ফ্রেন্দস টাইপের ব্যাপার স্যাপার ।
শুনুন আর কিছুক্ষণ বাদেই আমার জন্য একটা পার্সেল আসছে । হতভাগা বললো যে মা তোমার মনের কথা আমি বুঝি বুঝি । খুব মনে পড়ে মাঝে মাঝে তোমার ওই সখা সখিদের কথা । তোমার স্কুলের ওই হাম্পি ,রিম্পি ,ঝিমকি,বাবলু ওদের সাথে যোগাযোগ না থাকার অবসান ঘটবে এবার দাঁড়াও । পার্সেল টা নিয়ে রেখো খুলবে না । পড়শু আসছি যন্তরের সমস্ত শিখিয়ে দেবো । তারপর তোমায় দেখে কে । হুম তবে একটা শর্তে ওমা একটা সুন্দরী দেখো না । একা একা আর ভালো লাগে না । দেখো না , দেখো না । এপাশ থেকে মিচকে হাসলাম । ফোনটা রাখলাম ।
বুঝলেন কিছু । আমার হতভাগার মনের অবস্থা? আমাদের সম্পর্ক? ছেলে ,আমার শিক্ষক হবে ।
পাত্রী দেখা শুরু করলাম । আপনাদের তহবিলে পাত্রী থাকলে খোঁজ দেবেন । আর হ্যাঁ নেমন্তন্ন রইল আগেভাগেই।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন