সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আশা- রুদ্র দেবনাথ

কালোত্ব মাঝে সাদা আবছায়া নিঃসঙ্গ গ্রহচারী পৃথিবীর বুক আশ্রিত ছায়ামূর্তি তরুর ন্যায় জোছনাময় কুয়াশাগুমোট রাত নিথর পরশে দাঁড়িয়ে থাকে ।  অশ্রুসজল চোখ,   তারার জোনাক ঝলকানি ।  রাঙিত আকাশে শত সহস্র  কবির স্বপ্নজাল বোনা তখনও  থামে না, চলতেই থাকে....  তবু আনন্দ-বেদনায় উদ্বেলিত  ক্ষণিকের মলিন আকাশ কখনো কাউকে শব্দ তীরে  বিদ্ধ করে না ।  নিজ মধ্যে স্বল্পখসিত তারার  শোক ভুলে টানিত বুকে  বৃদ্ধ-শিশুর প্রেরণা জোগাতে সোনালী রবি'র প্রহর গুনতে থাকে । 

নিরুদ্দেশ আত্মা- উমা সরকার

  শরতে র সাথে দেখা হবে না  বসন্ত নিরুদ্দেশ।  আবেগ ভেসে গেছে বর্ষায়।  গ্রীষ্মের তপ্ততা পুরিয়ে নিয়েছে হৃদয়। পরন্ত শীতের বিকেলে স্বপ্ন রা স্বাধীন।  আবেগ শূন্য মন জীবন্ত।  আশা বোধহয় একেবারেই নির্লজ্জ। সে বেঁচে থাকে। সে  বেঁচে থাকার লড়াই করে।  সে বেঁচে থাকার অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত, তবুও সে বেঁচে থাকে। স্বযত্নে আগলে রাখবো তোমার মিথ্যে গুলো কে। তাদের দানা দেবো, আলো দেবো। ঘৃনার জন্ম হয় না। ফিরে পাবার আশা  আজও  আকাশ ছোঁয়া নীল। বসন্ত নিরুদ্দেশ। নিরুদ্দেশ আত্মা।

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

প্রতীক্ষা- পাপড়ি সেনগুপ্ত

আর ক'টা দিন পরেই চলে যাবে ভাদর।  আকাশটাতে থাকবে না আর কালো মেঘের চাদর। আশ্বিন এলেই বর্ষা রানির বিদায় নেওয়ার পালা। আসবে শরৎ সাজিয়ে নিয়ে শিউলি ফুলের ডালা। নীল আকাশে হাসবে রোদ ভাসবে মেঘের ভেলা। আগমনীর বাজবে সুর প্রাণে খুশির মেলা। শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসে শুনবো মায়ের চরণ ধ্বনি। শিউলি ঝরা শারদ প্রাতে আসবে মা জগৎজননী। আসায় আসায় প্রহর গুনি আগমনীর বার্তা শুনি। গড়ছে কুমোর খড় মাটিতে মায়ের আমার মূর্তি খানি। নদীর পাড়ে মাঠের ধারে ফুটবে কত কাশ ফুল। তারাও যে মায়ের পরশ পেতে অপেক্ষাতে বড়ই ব্যাকুল। দেরি যে আর সয় না মাগো আসবে কবে বলো নাগো? প্রতিক্ষাতে আছি বসে মাগো তুমি এবার জাগো।

কাগজের নৌকো- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

নূপুর চোখের জল মুছতে মুছতে ছুটে আসে -তার নিস্তব্ধতার সর্বশ্রেষ্ঠ আস্তানায় | অনেকটা পথ এসেছে সে - পিছনে ফিরে তাকায়নি একবারেও! পায়ের একটা তোড়া নরম ঘাসের আদলে কোথায় যেন ছিঁড়ে গেছে! ভালো করে দেখে নেয়- "ইসস অনেকটাই কেটেছে!"- হাত বুলিয়ে নেয় আলতো করে, ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে | অন্য হাতে "কাগজের নৌকো" | উঠে দাঁড়িয়ে দেখে নেয় ভালোকরে চারিদিকটা - শুধু নির্জনতা!-আর নদীর জলটা ঝিকমিক করছে- মৃদুমন্দ বাতাসে, গাছের পাতাগুলো দোলতে দোলতে লুকোচুরি খেলছে -মেঘের বুক চিরে আসা রোদের রোশনার সাথে! চোখ বন্ধ করে সে- বুক ভরে নেয় একটা দীর্ঘশ্বাস! উপভোগ করে এই নির্জনতা - তার এই বারো বৎসর বয়সেই অগুন্তি  তিক্ত অভিজ্ঞতা! মনের দেয়ালে অনুরণিত হয় শুধুই বাবার নেশাতুর গর্জন আর -মায়ের চিৎকার করে ভাঙা ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ার শব্দ আর অবচেতন দেহ টা! আর ভাবতে পারেনা সে! চোখের পর্দা গরম হয়ে আসে! তার মনের ছোট্ট প্রজাপতির- পাখা গুলো কে যেন আস্তে আস্তে ছিঁড়ে ফেলছে!- পিষে দিচ্ছে তার প্রিয় সব থেকে প্রিয় -'ঝুমঝুমি' নামে পুতুলটার মাথাটা মাটির সঙ্গে! হৃদপিন্ডটা পাঁজরার খাঁচাতে ধড়াস ধড়াস করতে করতে হঠাৎ যেন দরজা খ...

অমৃত- অর্ণব

 অমৃত বলতে বুঝি  বিষাক্ত প্রেম আর তুমি। বিষাক্ত প্রেম তাই  সুধা ভেবে পান করি ;                 জ্বালা করে বুক। জানি মরতে হবে একদিন ...                            হঠাত্। আমার হলুদ চখে পড়ে তোমার নীল হাসির ছটা। প্রেমের আগুনেই একদিন  পুড়ে ছারখার হবে প্রেম। তবে কি প্রেম করবোনা তোমায়.. প্রেমের ভস্ম পড়ে থাকুক মনে, জ্বালা অমর হয়ে  উঠুক উর্দ্বে.. সেই জ্বালাতেই অমর হয়ে                            থাকবো আমি।

বিস্মৃত বর্ষা- রুদ্র দেবনাথ

 আজ এ শ্রাবণের বর্ষায়, মন চায় এমনিতেই তোমায় দিতে।  গল্প হোক বা উপন্যাস, হোক না ছোট্ট এক লাইন, ক্ষতি কি যদি-বা লিখি ছন্দ-পঙক্তি,  তবু এ মন শুধুই তোমায় নিয়ে লিখতে চায়। এখন প্লট? তব বৃষ্টি বিলাস করব?  কিন্তু কার সাথে?  বিলাসিনী-ই তো সাথে নেই। বিজি কি না.....  এখন উপায়? নিছকই কল্পসাহিত্য রচনা করব !?  বেশ..... তবে তাই হোক।  গত বরষার স্মৃতি আউড়ে ধরি! না থাক। একলা বিলাসে বৃষ্টি মাঝে তোমা' অস্তিত্ব কল্পনা করি। নতুন শ্রাবণে অস্বস্তি প্রেম বয় কি না.. ঝরঝর বৃষ্টি ; অসময়ে মেঘের চাপাকান্নায় মনোজ'দের ঢেউটিন গড়িয়ে মুক্তাঙ্গনে পশ্চিমা আলোক ঝলকানিতে কচি কচু'র মুক্তাঙ্গন আজ শিহরিত।  দক্ষিণা বাতাসে তোমার কদমতলীর মেঠো পথে বৃষ্টি মুড়িয়ে পাপড়ি মিছিল,  উল্লসিত আকাশে রামধনুর পেখম ।  নীচে পুবঘরে তোমারি রবি-নৃত্যের আসরে চা-চুমুকে'র সাথে পরম এ দৃশ্যের প্রেমে হয়ত  বনলতা'ও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যেত। আর তুমি তোহ্ নিতান্তই সাধারণ ।  হটাৎ দমকা হাওয়া,  না জানি কোন তাক থেকে গড়ালো! ঘুঙর; ভোরের আলো সঙ্গে নিয়ে। ভোরের আলো! যার শিরোনামে প্রথমবার তুমি এসেছিলো ।।...

বাবা- কোয়েনা দাস

 কষ্টটাকে চেপে রেখে, হাসি ঠোঁটের কোণে  আদরগুলো চাপা থাকে , তাঁর ধমকই সবাই শোনে  মাথার উপর বটগাছ হয়ে দেয় আমাদের ছায়া  কঠোর মুখের গভীরেও তাঁর হাসিতে বড় মায়া | চাওয়া - পাওয়ার সব আবদার তাঁর কাছে দেয় ধরা  ছেলেবেলায় রোজ শোনাতেন ঘুম-পাড়ানি ছড়া , মেয়ে একদিন বড় হবে , যাবে শশুরবাড়ি  শতকষ্টেও বিদায় সে দেয় , মুখ করেনা হাঁড়ি  কাজের চাপে মাঝে মাঝে সময় ও পায় না  বাড়ির কথা মনে পড়ে , তবু কথা হয়না | সকাল বেলা বেরিয়ে সে যায় , কাজ থেকে ফেরে রাতে  তবু কন্যার আবদার সবই থাকে তাহার হাতে , মেয়ের ভালো রেজাল্ট হলে যার গর্বে ভরে বুক  মাঝে মাঝেই ঝিলিক দেয় উজ্জ্বল ওই মুখ  নিজের জন্য জিনিস কিনতে তাঁর ভীষণ অনীহা  সেই টাকাতে কিনবে মেয়ের বিয়ের জড়োয়া | কঠোর খোসার ভিতরে লোকানো নরম একটা মন  লক্ষ্য শুধু একটাই তাঁর - আমাদের আশাপূরণ , ক্লান্ত শরীর , টলমলে পা , তবু করতেই হবে রোজগার  টাকা ছাড়া চলবেনা দিন , তাঁর কাঁধেই গোটা সংসার  পারিপার্শ্বিক চাপেই বোধহয় তাঁর বাইরেটা হয় শক্ত  সবার মুখে হাসি ফোটাতে জল হয়ে যায় রক্ত | কাজের ফাঁকে যে মানুষটা একটু সময় প...

অডোনিল- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

 কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ - জানিনা! ও আসবেনা বলেই! কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ - কেন! ওই- এলো বলে! দুঃখ নিয়ে সুখ মেপেছি  - ঘরে কদ্দিন পর ভালো  মন্দ! এখন সুখে- দুঃখ চাই- অর্থ-পূর্ণ  শবশূন্যে! অভিমান করে খায়নি ছেলে - হাজার গুনের যন্ত্র দাও সারাদিন খাটে জীর্ণ-শীর্ণ, শান্তি পাবে ও মানুষ হলে! রাস্তা ঘাটের বিরিয়ানি তে লেগ -পিসটা! মশাই দেখে দিও, এদিকে তোমার, গৃহ বধূর আদর করে- রান্না করা বাসমতি চালের- কষ্ট বোঝো! স্বার্থ -নিজের,না  স্বার্থ -পরের? আমিও আসি রাত দুপুরে, জানান দিও, কেউ না জানে! স্বামীর পকেট রক্ত ঘামে, ওরে পাগলা, ভুল ভেবেছিস, রমণীযে তোর অন লাইনে, এই তো সমাজ, এইতো খবর, দিন-দুপুর আর রাত-বিরিতে, খুড়োর কলে, তেল ঢালো আর চলতে থাকো অন্ধ হয়ে, শিশুরা আজ উলঙ্গ, তবুও উলঙ্গতার সীমা কোথায়? টেবিল ভরা, বন্দী ফাইল! বাবা মায়ের অশ্রু-গাথায় | কবি আমার উদাসী কেন, ভাবছেন "আর দেখব কত? " ইনস্টলমেন্টে জীবাণু কীট! অর্থনীতির গ্রেডতো জিরো! উপন্যাসের দ্বন্দ্ব কোথায়, হীন-চরিত্রের হীনমন্যতায়! স্লোগান জোড়া ধাপার মাঠের- "অডোনিলে" গন্ধ কি যায়! সব কিছুই আজ উলোট-পালট চাঁদের পাহাড় - বুড়ো, বুন্যিপ,...

রাত- সুচরিতা ব্যানার্জী

  রাত, তুমি আমার বন্ধু হবে? আমি তোমার ছবি আঁকব। আমার অনুভূতি দিয়ে তোমায় রাঙিয়ে তুলব। তোমার স্নিগ্ধ শান্তি আমায় মনে করিয়ে দেয় আমার ফেলে আসা শৈশব। কিন্তু হায়! সেদিন আজ কো়থায় রাত, তুমি কি বিচিত্র! তুমি কাউকে দেখাও জীবনের স্বপ্ন, আবার কারো মনে এনে দাও আতঙ্ক। তোমার এ কি নিষ্ঠুরতা! তুমি কি জান, খোলা আকাশের নীচে কত শিশু শুধু তোমার ভরসায় আশার আলো দেখে? কিন্তু তাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় একটা গুলির শব্দে। তোমার সৌন্দর্যকে যারা তাদের সার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার করতে চায় তুমি কি তাদের নীরবে সহ্য করবে? জান রাত, আমি তোমার মধ্যে আমাকে দেখতে পাই। ধূসর মরুভূমির মধ্যে আমি মরীচিকার মত হাৎড়ে বেড়াই একটা নদী। কিন্তু মাইলের পর মাইল শুধু দেখি স্থুল পলির স্তুপ। কিন্তু তার পরেও আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তোমাকে যে আমার অনেক কথা বলার আছে। একদিন ঘুমের মধ্যে আমি শুনলাম এক কন্ঠ। যে আমায় বলল, “এই তো আমি, তোমার বন্ধু”। সে আরো বলল, “আমি আর এখন রাত নই। আমার নাম নতুন ভোরের রবি।

হিসেব- সৌমী আচার্য্য

  খালি পায়ে পেরিয়ে এসেছি সব ঋণ নিঃস্ব,রিক্ত হাভাতে শরীর টেনে টেনে মুখ ভাঁজে জড়িয়ে রেখেছি ব‍্যর্থতার দলিল খুঁজে যাও যদি কিছু স্বপ্ন খুঁজে পাও তবু ঘোলাটে চোখে বাসি ইচ্ছের নোলা চেটে তুলি ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখি বিশ্বাস, জমি,জিরেৎ নতুন বৌ,আট বছরের জলে ঢোবা ছেলে আর পারিবারিক নবান্ন উৎসব সব ফেরৎ হবে হবেই একদিন

উদ্বিগ্ন-পাপড়ি সেনগুপ্ত

ভাল্লাগেনা এই একঘেয়ে জীবন থাকো ঘরে নইলে মরণ। যেও না তুমি কারো বাড়ি , হয়েছে যেন সবার আড়ি। ঘরে বসেই দিন কাটাও যা কিছু শখ ঘরেই মেটাও। এভাবে কি আর জীবন চলে , পিষছে মানুষ জাঁতা কলে। ফোনেই সব কাজ সারো , সামনে তুমি যেও না কারো। কিভাবে যে কাটছে দিন , অবস্থা বড়ই সঙ্গীন ! অসুখ বিসুখ ঘরে ঘরে , বাঁচবে মানুষ কেমন করে ? চারি দিকে শুধু জ্বর জারি প্রাণ কাড়ছে মহামারী ! কেবল দুশ্চিন্তায় দিন কাটে , শখ সাধ সব উঠল লাটে। কেউ না খেতে পেয়ে দিন কাটায় আর বাঁচার কোনো নেই উপায়। কত প্রিয় জনের যাচ্ছে প্রাণ পথ দেখাও তুমি হে ভগবান। ভাবলে বড়ই হতাশ লাগে ! ছিলাম বেশ দিব্যি আগে।  

দু-পিঠ- সায়ন্তী বৈশ্য

  থেমে যেতেই হয় বইকি  সময় নিয়েই খেলা । গদির রাজপাট চুলোয় যাক মানুষ আগে মানুষ হোক। গণতন্ত্র নেই গো আর গণতন্ত্র পকেটে টাকা থাকলেই  হবে গো সে দেশবাসী।  হাঁটতে গিয়ে পায়ের রক্তে তুমি তাকে বরং বলো লক্ষীরচিহ্ন।  আমার দেশ আমার সংবিধান  লেখা আছে কোথাও বলতে পারো , এমন বিধান!  দুই পরিযায়ীদের দু-নিয়ম। কেউ পায় প্লেন , পুঁজিবাদের ক্ষমতায় ,  কেউ পায় ট্রেনের ধাক্কা , সরকারের অনুদান খাতায়।  আশায় আশায় কাটছে দিন ,  আশাতেই ঘাম ঝড়াচ্ছে।  বাড়িটা খুব বেশী দূরে নয়  মাত্র কয়েক শো মাইল ,  তাতে কি , ফিরতে হবে বাড়ি । ভোটের সময় হাজার বুলি মন্ত্রী মশাই দের । এখন ওরা লকডাউনে কাটাচ্ছেন দিন  #ফ‍্যামেলি_টাইম -এ । আরে মশাই ভয় কি আছি তো আমরা এ কষ্ট ঠিক চোখে দেখা যায় না  লাইবে এসে চলচ্ছে জ্ঞানের বচন ,  কেউ কেউ আবার কাঁদচ্ছেন। ভাগ‍্যিস ওদের স্মার্টফোন নেই  দাম আবার পনেরো হাজার । ওরা তবে ঠিক বুঝতো মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ যাইনি।  ওদের নিয়ে কাঁদচ্ছেন কেউ কেউ স‍্যোশাল মিডিয়ায়। ভোটার কার্ড , আধার কার্ড -কার্ডের আবার কতো রকম , ঠিক ...

পালাবদল- রুদ্র দেবনাথ

  উপরে রৌদ্রমেঘের অবাধ বিচরণ,  রিক্ত সে দুনিয়ায় শুভ্রনীলের স্তম্ভে সোনালী প্রলেপ, তপ্ত প্রহর মধ্যাহ্নের পানে ধাবমান।  অদৃষ্টপূর্ব বায়ু সীমান্ত পেরিয়ে  বিচিত্র নব দুনিয়ার আরম্ভ।  প্রাণের সঞ্চার মূলমন্ত্র  কিছু অনন্য তো কিছু সাধারণ,  সভ্য অসভ্যের সংমিশ্রণ।  সাধারণের বুদ্ধি বিশাল,বোঝা বড়ই দায়। শ্রেষ্ঠত্বের খ্যাতি বহু পূর্ব, এবার শ্রেষ্ঠতরের প্রত্যাশায় নিত্য নতুন আবিষ্কারে আর্য্যাবর্তকে হাতের মুঠোয় আনার অভিপ্রায়। অনন্যের ভিন্ন সংস্করণ, দূরদর্শী; অগ্রভাগে সাধারণের প্রাণ সঞ্চার মূলমন্ত্র। স্বার্থান্বেষী সাধারণের সীমাহীন অত্যাচার, সহিত অনন্য, ভূ-জগতে নিজ কর্মে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাধারণের ভাবনায় কিঞ্চিৎ মোটা চর্ম, অসহ্য লাঞ্ছনা স্বীকারে নিঃস্বার্থ বলির পাঠা প্রায় সময়ই। হটাৎ অজানা ঝড়, অদৃশ্য আক্রমনে দিশেহারা সংসার। থমকানো; ক্রমশ নিশ্চলের পানে ধাবিত। সাধারণের অসভ্য তো বায়ু সীমানার ওপার, যদিও সদা সর্বদা সচল। অসভ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্য বায়ু সীমানার দাঁড় আজ,  সভ্য লুটিয়ে থাকে দু'পাশের পুনঃ মিলন হবার।

প্রলম্বিত ছায়ার ভিড়ে- অপাংশু দেবনাথ

  আমার ভেতর থেকে লাফিয়ে পড়ে কামার্ত বাঘ আমার ভেতর থেকে ছুটে যাচ্ছে দূরন্ত প্রলাপ আমার ভেতর থেকে বেরিয়ে বৃক্ষ অরণ্য হয়। বহুদিনের শিশুটি  হারিয়ে গেছে অক্ষর-ভিড়ে ধারাপাত ভরে উঠে কবিদের প্রলম্বিত ছায়ায় একটিও এমন ছায়া পেলাম না যার তলে এসে পড়তে পারি আমার সন্ন্যাস,প্রকৃত কবিতাটি।  তোমারও ভেতরে এক মিছিল ছিলো জঙ্গী দুপুরে ভালোবাসার রঙীন ঘুড়ি ছিলো মেধার আকাশে। মিছিল ছুটে ঢেউএর পর ঢেউ তুলে, মিশে ভিড়ে। ভিড়ে সেই মুখগুলো কোথায়? বৃষ্টি হবে জেনেও ছাতাহীন বৃক্ষসব অরণ্যকে নিয়ে দাঁড়িয়েছে নদীভাঙন রেখায়।তারপর চোরা স্রোত বয় আমার ভেতর থেকে কুন্ডলী পাকিয়ে উঠে ঢেউ তার উপর দাঁড়িয়ে বৈঠাহীন নৌকো ভাসাও।

"কুঁড়ি"- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

  ঘড়িতে দেখি সেকেন্ডের কাঁটাটা তীব্র বেগে সময়ের ময়না তদন্তে ব্যস্ত! শহরটা চুপচাপ - অন্ধকার! পরকীয়া সোহাগ আর কোঁকড়ানো চাদরে " অনুভূতি " আপাদমস্তক আবৃত! সোশ্যাল মিডিয়া, দূরদর্শন প্যানেলে- ত্রিত্ব প্রেমে চতুর্দশী, ও চলেছে একা, অন্ধকার গলি! কুকুরের কোরাস আর ঝিঁঝির শোরগোলে খুঁজে নিতে আশ্রয়, অরক্ষিত পরিচিতি! কত? বলে খামচে ধরে, মাংস লোলুপ, পিশাচেরা! রক্তটা নীলচে হয়েছে, বুকে এখনো জ্বলন্ত সিগারেটের ক্ষত! আজ রাতে এটাই শেষ, ভেবে নেয় মনে মনে! -বনলতা, প্যার সে, বিজলি! বাবা "বেনু মা" বলে কত আদরে ডাকতো! অঙ্গনে আজ শশ্মান সম, শুধু ছায়ের ঢিপি, অশ্লীলতার বাঁধ ভেঙেছে, চোখ অশ্রুসিক্ত নদী! হটাৎ সে শুনতে পায়, মা বলে, কে ডাকে! শাড়ীর আঁচল আলোথালো, উন্মুক্ত অগ্রে, উগ্রতা ফুটে ওঠে! জীবনে আছে, তিন বছরের, ছোট্ট একটা "কুঁড়ি "! নোটে গাছটি মুড়োলে মুড়োক, বেনু তো হারতে শেখেনি! "বাবু কটা বাজে?"- জিজ্ঞেস করে উত্তরের আশায়, শিফট- শেষ, আজকের মতো! "আমার কুঁড়িমা টা হয়তো, কাঁদতে থাকবে, যদি আমায় দেখতে না পায়!" বোতলটা ড্রেনেছুড়ে, বাবু ফিরে যাবে, উত্তর না দিয়েই, কিন্তু আজ সবেই উল্...

ভাবতে ভালোবাসি...- বিদিশা

আমি ভাবতে ভালোবাসি,  হয়তো দূর কোনো দেশে  সবার নিরুদ্দেশে তুই ব্যস্ত আপন গবেষণায় মগ্ন নভোবস্তুবিদ্যায়... হয়তো বন্ধুর হেতু এ বলিদান... হয়তো নিজের স্বপ্নপূরণের হেতু...  হয়তো আছিস নক্ষত্রের নেশায়... যেথা স্বপ্ন বাস্তবে মেশায়... থাক তুই সেই দেশে সেথা জয় মিলবে শেষে আমি ভাবতে ভালোবাসি  এ সকল কথা  বাস্তবকে মেনে নেওয়ার করছি চেষ্ঠা বৃথা ভাবতে চাইনা আমি সেই অম্বরটিকে যেথা হারিয়েছি আমরা  তোর মত এক নক্ষত্রকে

আগমনী- বন্যা ব্যানার্জী

  শরৎ মুখো রোদের গায়ে মেঘের লাইন।দেখতে দেখতে হঠাৎ ছাদের ওড়না নীলে দু চোখ ধূলো,কেমন যেন এলোমেলো। বাতাস ঝিরি গাইছে পাখি,বয়েস এখন লুকোয় ভীড়ে। তবুও আজ ওড়না নীলে রাত জাগা সেই স্বপ্ন গুলো নম্র হলো,নম্র হলো কলম ছুঁলো ভোরের চিঠি।প্রিয়তমা!আজকে আমার আড়মোড়া দিন অফিস ছুটি। জানি সবই,তবুও কেনআজ কে হঠাৎ পাইয়ে দিচ্ছে ভোরের হাওয়ায় খুব চেনা সুখ। খুব চেনা সুখ শহর ছাড়া,তবুও কেন জড়িয়ে থাকা আঙুল ছুঁয়ে হাঁটছে খেয়াল মেঘের গায়ে।শরৎ মুখো রোদের মায়ায় একুশ বছর আগের দেখা তোমার ই মুখ।।

জাগবি কবে- বিশ্বজিৎ দত্ত

  ঘুম কি তোর ভাঙবে নারে, সত্যি কি আর জাগবি না? জলের স্রোতে ভাঙছে যে পাড়, নয়ন খুলে দেখবি না?? নীরব রলি, মূল্যবোধে, নদীর বান ঐ হাকে চেতনা তোর গভীর শোকে, মুখোশে যে মুখ ঢাকে! হায়রে দেশে, মানুষ বেশে, এই বুঝি তোর আত্মরূপ । কাল যা ছিল, আজ হারালি! তোর জীবনের স্বপ্ন সুখ। মগ্ন রলি আত্মসুখে, পরের কথা ভাবলি না। মানবতার পথের পরে- পা দুখানা, রাখলিনা! আছিস বেশ! ঘুমের ঘোরে, নিশি যাপন, আপন চড়ে। অবাক নয়ন, অন্ধ জ্যোতি, শমন যে তোর রুদ্ধ দ্বারে! ভাঙছে পাড়, ভাঙছে বুক, তবু ঘুম ভাঙছে না! সত্যি আর জাগবি কবে? সত্যি কি আর জাগবি না!!

এবং তারপর- রানা মিত্র

  আমি চাইবো না থেকে যেতে, বলবো না মেপে নিতে, ভালোবাসার পরিমাপ যদি হয়, তবুও তা মাপার জিনিস নয়। আমি জানি তোমার আছে, তোমারও হয়, আমার মতই মৃত্যুভয়, সময় বিশেষে মৃত্যু প্রয়োজন, মৃত্যুভয় টা জরুরি নয়। মাঝে মাঝে তাই মরি, আবার নিজেকে জুড়ি, তবু ক্ষত থেকে যায় মনে, মনে হয় ক্ষতে যদিও থাকে বিদ্বেষ ঘৃনা, লজ্জা ভয় কখনো নয়।