বিকেল বেলার সময়ে একটা হলুদ ট্যাক্সি দাঁড়ালো ওই পুরোনো মল্লিক বাড়ির সামনে। বেশ হতবাক হলাম কারন আমি জানতাম ও বাড়ির বাবুরা পূজোর সময় ছাড়া আসেন না। তার আগে তাদের হঠাৎ এভাবে অকাল বোধন এ বেশ হতবাক হয়ে,দৃশ্যটা নিজের বাড়ির ছাদ থেকে দেখছিলুম।
দেখেছেন নিজের পরিচয়ই দেওয়া হয়নি আমার নাম অপেন্দ্র দত্ত ওরফে অপু।
আমি এখন বি.এ থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। এই এতোদিনেও কোনো সঙ্গী জোটেনি আমার।
ট্যাক্সি থেকে নেমে এলো হালকা গোলাপি চুড়িদার পড়া একটি বছর উনিশের মেয়ে, পাড়ার লোকের চোখ তার দিকেই,সে আট চোখে চারপাশ দেখে ভেতরে ঢুকে গেল।
রাতের বেলা খাওয়ার সময় মা বললো বাবা কে উদ্দেশ্যে করে,
মা~জানো? আজ তোমার বন্ধু অজিত এর মেয়ে অনুপমা এসেছে।
বা~ কোন অজিত? মল্লিক বাড়ির?
মা~ হ্যাঁ গো।
বা~ তা পূজোর তো এখনও একমাস এতো তাড়াতাড়ি এলো কেন?
মা~ শুনলাম কীসব কাজ করবে বলে এসেছে।
বা~ ও আচ্ছা
সেই দিনকার রাতটা অন্যভাবেই কেটে গেল।
একদিন আমার আর ওর হঠাৎ চোখাচোখি হয়ে গেল ছাদে।
সে বেশ লাজুক ভাবেই মুখ ঘুড়িয়ে নিলো। সেই লাজুক ভাবেই আমি তার ওপর আকৃষ্ট হলাম। এভাবে আমাদের প্রথম আলাপ ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ,গল্পের গরু এবার গাছে ওঠেছে।
এভাবে চলতে চলতেই এমন প্রেমে যা হয় তাই হলো আমাদের সাথেও,
পূজো চলে এলো, অনুপমার বাড়ির সবাই এলো।
জানাজানি হয়ে গেল সবটা।
তারপর দশবছর অনুপমা আর পূজোয় আসেনি। আজ আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী। কিছুদিন যাওয়ার পর সবই ভুলে গেছিলাম আমি এখন এক মেয়ের বাবা।
এগারো বছরের মাথায় সব আবার মনে পড়লো, আবার মল্লিক বাড়ির সামনে একটা হলুদ ট্যাক্সি দাড়ালো। একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছেলে আমার মেয়ের বয়সী নেমে এলো বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এটাই আমার অনুপমার একমাত্র অনুপম, অপেন্দ্র বা অপু না।

কি মিষ্টি গল্প❤️😀
উত্তরমুছুন