সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এইভাবেও থাকা যায়- কাঁকন মুখার্জী

BengaliStoryEibhabeoThakaJai

 

#শুরুতেইশেষনয় ❌ বরং 

#শেষটাওশুরুরমতোই_থাক ❤️❤️

( সম্পর্কে আসার আগে ও পরে ) 


আমরা যখন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হই ... যখন কাউকে ভালো লাগতে শুরু করে তখন যেন মনে হয় আশে পাশে থাকা সব কিছুই মিথ্যে ...  চারিদিকে শুধু  সেই ভালোলাগার মানুষটা ছাড়া আর কিছুই নেই !!! 


সয়নে স্বপনে শুধুই ওই মানুষটা ...😊❤️  


একটু একটু করে তার সাথে জড়িয়ে পড়া , যেই মানুষটা ছিলো ভালোলাগার মানুষ সেই কিছু দিন পর ভালোবাসার মানুষ হয়ে ওঠে।

এত টাই জড়িয়ে পড়ি আমরা প্রত্যেকেই আগামী সাত জন্ম তার সাথে সংসার করার স্বপন , ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সবই করে ফেলি ।  সব ঠিক করে ফেলি ... আমাদের প্রথম মধুচন্দ্রিমা কোথায় হবে পাহাড় নাকি সমুদ্র, বাচ্চা কটা নেবো , তাদের নাম কি রাখব , ছেলে হলে ভালো হবে নাকি মেয়ে হলে !! 

বিয়ের পর অফিস থেকে ফিরে বিকেলে কোথায় যাবো সব ঠিক করা থাকে ........ এমনও কথা হয় ... " আচ্ছা ,বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ভালোবাসাটা যেন আগের মত থাকে 🤭 " ওদের বাড়িতে রেখে আমরা প্রেম করতে যাবো গঙ্গার ধারে .... ঠিক আছে  তো !!! 


আগামী সাত জন্ম আমরা কি কি করবো সবই ঠিক করেই ফেলি ।


একটু একটু করে সম্পর্কে থাকা মানুষ গুলো দিন , মাস বছর এর পর বছর পার করতে থাকে .... দায়িত্ব , কর্তব্য পালন সবই বাড়তে থাকে । হয়ত !!! সম্পর্কের প্রথমে যারা সময়ের পর সময় দুজন দুজনকে দিতো, সেই সময় টাও আর দিয়ে ওটা যায় না ।  

তখন শুরু হয় সম্পর্কে মনোমালিন্য , শুরু হয় কথা কাটাকাটি .... 

যারা একটা সময় কেউ কারুর সাথে কথা না বলে থাকতেই পারতো না ... তারাই আবার দিন এর পর দিন , মাসের পর মাস কথা বলে না। হয়ত , বছর গড়িয়ে গেলেও কেউ কারুর সঙ্গে কথা বলে নাহ্। এর ফল স্বরূপ সম্পর্কে বিচ্ছেদ ।   


বিচ্ছেদের আগে আমরা ভুলে যাই ... সম্পর্কে আসার আগের প্রতিশ্রুতি গুলোর কথা । ভুলে যাই আমরাই তো একে অপরের হাত ধরে বলেছিলাম যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা পাশে থাকবো , আমার বা তোমার নয় !! আমাদের স্বপন গুলো একসাথে পূরণ করবো । এটাও আমরা বলে থাকি ... সময় দেওয়াটাই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নয় !!  গুরুত্বপূর্ণ সেটাই আমাদের ভালো থাকাটা ... আমরাই তো বলে থাকি .... আমাদের স্বপন পূরণ করতে হলে যদি আমাদের দেখা নাও হয় তাও আমরা তাও ঝগড়া করবো না.... আমরা মানুষটা তো দুজন দুজনের জন্যে সাত জন্ম ধরেই থাকবো ..... বয়স বাড়লেও আমাদের ভালোবাসা কমে যাবে নাহ্ । 


কিন্তু , তারপর কি হয় ?? কোথায় যায় দুটো মানুষের জন্যে দুটো মানুষের গুরুত্ব ?? কোথায় যায় এই প্রতিশ্রুতি গুলো ???  


অবহেলা  একটা মেয়ে যেমন সহ্য করতে পারে না, ঠিক তেমনি একটা ছেলেও পারে না অবহেলা সহ্য করতে ।  একটা সম্পর্ক  টিকিয়ে রাখা শুধুমাত্র একটা মেয়ের কর্তব্য যেমন হয়না , তেমনি একটা ছেলেই সারাজীবন রোজগার করে সংসার টেনে নিয়ে যাবে সেটাও ঠিক নয় ....

সম্পর্কে থাকাকালীন দুটো মানুষকেই দুজন দুজনের পরিপূরক হয়ে উঠতে হবে !! সম্পর্কের গুরুত্ব টা দুজনকেই বুঝতে হবে !! একে অপরকে দোষ না দিয়ে , দুজন দুজনের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে হবে.... 


  ঠিক যেমন সম্পর্কে আসার আগে ছিলো ...সেটাই যেন শেষ অবধি ধ্রুবক হয়ে থেকে যায় ।  

শুরুতেই শেষ না করে ... শেষটা একদম শুরুর মতোই রাখার চেষ্টা থাকাটাই দরকারী .... পুরোপুরি নাহ্ হোক ... তবু কিছুটা হোক !! ❤️❤️


#বিশেষ_দ্রষ্টব্য : • চামড়াটা কুচকে যাক ... মনটা রোমান্টিক থাক😍 ..


• বয়সটা বাড়তে থাক ... ভালোবাসাটা একই থাক ❤️


• শরীরের হাঁড়ের ভাঙন ধরুক ... হৃদয়ের ভাঙন নয় .... 🤗❤️😊


• ভালোবাসাকে লোক দেখিয়ে ভালো না রেখে , মন থেকে ভালো রাখার চেষ্টা চলুক ....❤️❤️


• ঝগড়া হোক ক্ষণস্থায়ী .... ভালোবাসা হোক দীর্ঘস্থায়ী 🤗❤️

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...