সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পালাবদল- রুদ্র দেবনাথ

 

PalabadalBengaliPoem

উপরে রৌদ্রমেঘের অবাধ বিচরণ, 

রিক্ত সে দুনিয়ায়

শুভ্রনীলের স্তম্ভে সোনালী প্রলেপ,

তপ্ত প্রহর মধ্যাহ্নের পানে ধাবমান। 

অদৃষ্টপূর্ব বায়ু সীমান্ত পেরিয়ে 

বিচিত্র নব দুনিয়ার আরম্ভ। 

প্রাণের সঞ্চার মূলমন্ত্র 

কিছু অনন্য তো কিছু সাধারণ, 

সভ্য অসভ্যের সংমিশ্রণ। 


সাধারণের বুদ্ধি বিশাল,বোঝা বড়ই দায়।

শ্রেষ্ঠত্বের খ্যাতি বহু পূর্ব,

এবার শ্রেষ্ঠতরের প্রত্যাশায়

নিত্য নতুন আবিষ্কারে আর্য্যাবর্তকে

হাতের মুঠোয় আনার অভিপ্রায়।


অনন্যের ভিন্ন সংস্করণ, দূরদর্শী; অগ্রভাগে

সাধারণের প্রাণ সঞ্চার মূলমন্ত্র।

স্বার্থান্বেষী সাধারণের সীমাহীন অত্যাচার,

সহিত অনন্য, ভূ-জগতে নিজ কর্মে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সাধারণের ভাবনায় কিঞ্চিৎ মোটা চর্ম,

অসহ্য লাঞ্ছনা স্বীকারে নিঃস্বার্থ বলির পাঠা প্রায় সময়ই।


হটাৎ অজানা ঝড়, অদৃশ্য আক্রমনে

দিশেহারা সংসার। থমকানো;

ক্রমশ নিশ্চলের পানে ধাবিত।

সাধারণের অসভ্য তো বায়ু সীমানার ওপার,

যদিও সদা সর্বদা সচল।

অসভ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্য

বায়ু সীমানার দাঁড় আজ, 

সভ্য লুটিয়ে থাকে দু'পাশের পুনঃ মিলন হবার।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...