আজ এ শ্রাবণের বর্ষায়,
মন চায় এমনিতেই তোমায় দিতে।
গল্প হোক বা উপন্যাস,
হোক না ছোট্ট এক লাইন,
ক্ষতি কি যদি-বা লিখি ছন্দ-পঙক্তি,
তবু এ মন শুধুই তোমায় নিয়ে লিখতে চায়।
এখন প্লট?
তব বৃষ্টি বিলাস করব?
কিন্তু কার সাথে?
বিলাসিনী-ই তো সাথে নেই।
বিজি কি না.....
এখন উপায়?
নিছকই কল্পসাহিত্য রচনা করব !?
বেশ..... তবে তাই হোক।
গত বরষার স্মৃতি আউড়ে ধরি!
না থাক। একলা বিলাসে বৃষ্টি মাঝে
তোমা' অস্তিত্ব কল্পনা করি।
নতুন শ্রাবণে অস্বস্তি প্রেম বয় কি না..
ঝরঝর বৃষ্টি ; অসময়ে মেঘের চাপাকান্নায়
মনোজ'দের ঢেউটিন গড়িয়ে
মুক্তাঙ্গনে পশ্চিমা আলোক ঝলকানিতে
কচি কচু'র মুক্তাঙ্গন আজ শিহরিত।
দক্ষিণা বাতাসে তোমার কদমতলীর
মেঠো পথে বৃষ্টি মুড়িয়ে পাপড়ি মিছিল,
উল্লসিত আকাশে রামধনুর পেখম ।
নীচে পুবঘরে তোমারি রবি-নৃত্যের আসরে চা-চুমুকে'র সাথে পরম এ দৃশ্যের প্রেমে হয়ত
বনলতা'ও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যেত।
আর তুমি তোহ্ নিতান্তই সাধারণ ।
হটাৎ দমকা হাওয়া,
না জানি কোন তাক থেকে গড়ালো!
ঘুঙর; ভোরের আলো সঙ্গে নিয়ে।
ভোরের আলো! যার শিরোনামে
প্রথমবার তুমি এসেছিলো ।।
নিতান্তই সাধারণ কি না...
শ্রাবণের সেই বাদলা'র
দিনে তোমার নাম। তাও আবার শিরোনামে।
কতটা উচ্ছ্বাসিত না বলাই শ্রেয়।
আচ্ছা কি ছিল শিরোনামে?
২৫ শে শ্রাবণ। মানে তো আজ।
কিন্তু রক্তাক্ত গাড়িতে কেন !?
আবার লেখা না ফেরারী।
নিমিষেই আকাশ গড়িয়ে উল্কাঝড়ে ভারী মাথা,
হটাৎ বেহুঁশ হয়ে
আধঘণ্টা বাদে হুঁশ এলো তো মনে পরলো,
সত্যিই তো তুমি না ফেরারী এখন।
তব প্রতি বছর এমন কেন হয়?
কেন এই দিনটাতেই তোমার বিরহে
বিলীন হয় অশান্ত মন,
পুনঃ শৃঙ্গার করে আমাদের প্রেম গাঁথা।
শুধুই কি প্রেম ছিল ?
নাকি ভালোবাসাও ছিল আমাদের মাঝে?
বোধহয় ছিদ্রহীন সমর্পিত শুদ্ধ ভালোবাসা।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন