সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিস্মৃত বর্ষা- রুদ্র দেবনাথ



 আজ এ শ্রাবণের বর্ষায়,

মন চায় এমনিতেই তোমায় দিতে। 

গল্প হোক বা উপন্যাস,

হোক না ছোট্ট এক লাইন,

ক্ষতি কি যদি-বা লিখি ছন্দ-পঙক্তি, 

তবু এ মন শুধুই তোমায় নিয়ে লিখতে চায়।


এখন প্লট?

তব বৃষ্টি বিলাস করব? 

কিন্তু কার সাথে? 

বিলাসিনী-ই তো সাথে নেই।

বিজি কি না..... 

এখন উপায়?

নিছকই কল্পসাহিত্য রচনা করব !? 

বেশ..... তবে তাই হোক। 

গত বরষার স্মৃতি আউড়ে ধরি!

না থাক। একলা বিলাসে বৃষ্টি মাঝে

তোমা' অস্তিত্ব কল্পনা করি।

নতুন শ্রাবণে অস্বস্তি প্রেম বয় কি না..


ঝরঝর বৃষ্টি ; অসময়ে মেঘের চাপাকান্নায়

মনোজ'দের ঢেউটিন গড়িয়ে

মুক্তাঙ্গনে পশ্চিমা আলোক ঝলকানিতে

কচি কচু'র মুক্তাঙ্গন আজ শিহরিত। 

দক্ষিণা বাতাসে তোমার কদমতলীর

মেঠো পথে বৃষ্টি মুড়িয়ে পাপড়ি মিছিল, 

উল্লসিত আকাশে রামধনুর পেখম । 

নীচে পুবঘরে তোমারি রবি-নৃত্যের আসরে চা-চুমুকে'র সাথে পরম এ দৃশ্যের প্রেমে হয়ত 

বনলতা'ও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যেত।

আর তুমি তোহ্ নিতান্তই সাধারণ । 


হটাৎ দমকা হাওয়া, 

না জানি কোন তাক থেকে গড়ালো!

ঘুঙর; ভোরের আলো সঙ্গে নিয়ে।

ভোরের আলো! যার শিরোনামে

প্রথমবার তুমি এসেছিলো ।। 

নিতান্তই সাধারণ কি না... 

শ্রাবণের সেই বাদলা'র

দিনে তোমার নাম। তাও আবার শিরোনামে। 

কতটা উচ্ছ্বাসিত না বলাই শ্রেয়।

আচ্ছা কি ছিল শিরোনামে? 


২৫ শে শ্রাবণ।  মানে তো আজ।

কিন্তু রক্তাক্ত গাড়িতে কেন !? 

আবার লেখা না ফেরারী। 


নিমিষেই আকাশ গড়িয়ে উল্কাঝড়ে ভারী মাথা,

হটাৎ বেহুঁশ হয়ে

আধঘণ্টা বাদে হুঁশ এলো তো মনে পরলো, 

সত্যিই তো তুমি না ফেরারী এখন।

তব প্রতি বছর এমন কেন হয়?

কেন এই দিনটাতেই তোমার বিরহে

বিলীন হয় অশান্ত মন,

পুনঃ শৃঙ্গার করে আমাদের প্রেম গাঁথা।

শুধুই কি প্রেম ছিল ? 

নাকি ভালোবাসাও ছিল আমাদের মাঝে? 

বোধহয় ছিদ্রহীন সমর্পিত শুদ্ধ ভালোবাসা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...