সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আলোকপাতের কথা

কৈশর অতিক্রম করে যৌবনের পথে পা বাড়ানো কিছু কিছু বন্ধু | বয়সটা বড় বেশী আবেগপ্রবণ,তাদের অনেক ভাবনা ইচ্ছা, অনেক স্বপ্ন কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর কিছু বাস্তবে রুপ পায় | তেমনি 'আলোকপাত ' কিছু বন্ধুর স্বপ্ন, ভাবনা, আশা, প্রচেষ্টা | বন্ধুদের মধ্যে আড্ডার ছলে প্রস্তাব ওঠে কিছু একটা করতে হবে যা মিলিয়ে দেবে সমাজ সাহিত্যকে |প্রস্তাবটা আড্ডাছলে দেওয়া হলেও ভাবিয়েছিল সব বন্ধুকেই | সাল টা ২০১৩- ৭ই মে, বাংলা ২৫শে বৈশাখ | রবীন্দ্রজয়ন্তির ছোটো-খাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে 'আলোকপাত' | সেই 'আলোকপাতের' পথ চলা শুরু | কিন্তু দীর্ঘ আড়াই বছর পর পথ চলার মাঝে কিছু কিছু বন্ধু দূরে চলে যায় পড়াশোনার জন্য | আবার নতুন কিছু বন্ধু আলোকপাতকে আপন করে নিয়েছে |

এখন ২০১৫ সালে পূজোর ছুটিতে সব বন্ধু একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করি একটা পত্রিকা প্রকাশনার | সেই মতো সবাই লেখা লিখি শুরু করি , এবং ঠিক করা হয় পত্রিকাটির নাম হবে 'আলোকপাত' | আমরা এরপর প্রত্যেক বছর নিয়মিত ভাবে 2019 পর্যন্ত মোট 5 টি সংখ্যা প্রকাশ কিরেছি।

এই বছর 2020 সালে, করোনা আবহে নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মেলাতে অনলাইনে আলোকপাত প্রকাশিত হলো। আমাদের ইচ্ছে আছে অনেক ,ভাবনা আছে অনেক, কিন্তু সামর্থ সীমিত | আমরা এখন প্রতিদিন আপনাদের সামনে নতুন নতুন লেখা প্রকাশ করব।

সৌজন্যে

অজয় সাহা

অর্ক চক্রবর্তী

অয়ন দেবনাথ

স্বাগত ভবাই

উত্তম বিশ্বাস

সোমনাথ দাস

অনীশ ঘোষ

অনুভব ভৌমিক

অয়ন দত্ত

দীপক কর্মকার

সুজয় সাহা

শৌভিক প্রামানিক

রাহুল প্রামানিক

সনৎ দাস

                      

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...