সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অডোনিল- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু



 কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ -

জানিনা! ও আসবেনা বলেই!

কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ -

কেন! ওই- এলো বলে!

দুঃখ নিয়ে সুখ মেপেছি  -

ঘরে কদ্দিন পর ভালো  মন্দ!

এখন সুখে- দুঃখ চাই-

অর্থ-পূর্ণ  শবশূন্যে!

অভিমান করে খায়নি ছেলে -

হাজার গুনের যন্ত্র দাও

সারাদিন খাটে জীর্ণ-শীর্ণ,

শান্তি পাবে ও মানুষ হলে!

রাস্তা ঘাটের বিরিয়ানি তে লেগ -পিসটা!

মশাই দেখে দিও,

এদিকে তোমার,

গৃহ বধূর আদর করে-

রান্না করা বাসমতি চালের-

কষ্ট বোঝো!

স্বার্থ -নিজের,না  স্বার্থ -পরের?

আমিও আসি রাত দুপুরে,

জানান দিও, কেউ না জানে!

স্বামীর পকেট রক্ত ঘামে,

ওরে পাগলা, ভুল ভেবেছিস,

রমণীযে তোর অন লাইনে,

এই তো সমাজ, এইতো খবর,

দিন-দুপুর আর রাত-বিরিতে,

খুড়োর কলে, তেল ঢালো আর চলতে থাকো অন্ধ হয়ে,

শিশুরা আজ উলঙ্গ, তবুও উলঙ্গতার সীমা কোথায়?

টেবিল ভরা, বন্দী ফাইল!

বাবা মায়ের অশ্রু-গাথায় |

কবি আমার উদাসী কেন,

ভাবছেন "আর দেখব কত? "

ইনস্টলমেন্টে জীবাণু কীট!

অর্থনীতির গ্রেডতো জিরো!

উপন্যাসের দ্বন্দ্ব কোথায়,

হীন-চরিত্রের হীনমন্যতায়!

স্লোগান জোড়া ধাপার মাঠের-

"অডোনিলে" গন্ধ কি যায়!

সব কিছুই আজ উলোট-পালট

চাঁদের পাহাড় - বুড়ো, বুন্যিপ,

সবকিছুতেই মন্দ-ভালো, তবুও,

মন্দ হতেই সবাই যে চায়!

আফশোস কবি- বলে গেছেন,

"চরকা কাটো নিজের তেলে"-

"ব্যঙ্গ করে ব্যাঙ্গমীকে "-

"ব্যাঙ্গমা তো ঘরের ছেলে "-

তখন  চোখের জল ফেলো না,

কান্না সবেই গ্লিসারিন তেলে!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...