সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমাদের জীবনের দ্বীপ- বুলবুল মৈত্র



যাঁর ভাবনায় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ এর অবাধ বিচরণ ছিল। তাঁর কথা বলতে গিয়ে গুরুদেবের কথাকে সামনে রেখে বলি---

"চিরবন্ধু চির নির্ভর চিরশান্তি তুমি হে প্রভু। "

চলে গেলেন আমাদের পরিবারের সবার প্রিয় রাঙাকাকা। ১৯২৫সালের ১৮ইফেব্রুয়ারী জন্ম। আর ২০২০সালের ২৯আগষ্ট মৃত্যু। 

জীবনের যবনিকা টানলেন ৯৫ বছর বয়সে। 

আমাদের পরিবারের সকলের পথপ্রদর্শক ছিলেন আমাদের প্রিয় রাঙাকাকা। 

আমরা হারালাম আমাদের রাঙাকাকা কে আর শান্তিপুর বাসী হারালেন শান্তিপুরের সুসন্তান কাশীকান্ত মৈত্রকে। 

শান্তিপুরের আদি রূপকার পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্রের সুযোগ্য পুত্র কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন কাশীকান্ত মৈত্র। 

আমি বেশি রাজনৈতিক দিক বলব না।শুধু বলব,

২০১৩ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মান লাভ করেন। 

হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি উত্তম মজুমদার জানিয়ে ছেন৬৮ বছরের ও বেশি সময় ধরে তিনি ওকালতি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতি হল আইন জগতের। 

এত বড় মাপের মানুষ হয়েও তিনি অতি সাধারণ জীবন যাত্রা অতিবাহিত করতেন। এমন কি খাওয়া দাওয়া ছিল অতি সাধারণ। আমার জীবনে এত বড় মাপের আদর্শ ন মানুষ আজকের দিনে বিরল। 

গুরুদেবের কথা দিয়েই শেষকরি। 

"হে মহাসুন্দর শেষ, হে বিদায় অনিমেষ, হে সৌম্য বিষাদ ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির, মুছায়ে নয়ন নীর। করো আর্শীবাদ।"



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

পচন- মনোজ কুমার সরকার

  আজ যে কাহিনীর অবতারণা করতে চলেছি পাঠকের কাছে তা নিছক একটি গল্প হলেও আসলে আমার জীবনেই এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্তত সেদিন একবিংশ শতাব্দীর যুক্তিবাদী শিক্ষিত মানুষ হওয়া সত্বেও আমি এই ঘটনার জটিল রহস্যের কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সেই বিচিত্র ঘটনার দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া সেদিন আমার আর কিছুই করার ছিল না। বছর দশেক আগের কথা। সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম মামার বাড়ি বেড়াতে ।মা, বাবা, ভাই ও আমি অর্থাৎ সপরিবারে ।আমার মামাবাড়ী রানাঘাটে কাপাস ক্যাম্পের কাছাকাছি হরিনাথপুরে। হরিনাথপুর একটি ছোট কলোনি বিশেষ ।দেশভাগের পর বহু ছিন্নমূল মানুষ সেখানে পাকাপাকি তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। দিদিমা প্রায়ই বলতেন এখানে আগে ছিল শুধুই জল কচুর বন আর আঁশ শেওড়ার ঝোপ। এমনকি আমি নিজেও ওই অঞ্চলে গিয়ে বেশ কিছু পরিত্যক্ত জলা জমি দেখেছি। প্রোমোটারের নেক নজরে পড়লে সেখানে হয়তো ফ্ল্যাটবাড়ি উঠতে পারত। এমনিতে হরিনাথপুর জায়গাটা আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা কলকাতার মানুষ। গ্রামবাংলায় আসি একটু টাটকা বাতাসের খোঁজে, আর হরিনাথপুরে সেসব অফুরন্ত। এমন একটি চমৎকার জায়গায় এসে এত ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে যদি আগে জানতাম তাহলে সে...