সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

দু-পিঠ- সায়ন্তী বৈশ্য

  থেমে যেতেই হয় বইকি  সময় নিয়েই খেলা । গদির রাজপাট চুলোয় যাক মানুষ আগে মানুষ হোক। গণতন্ত্র নেই গো আর গণতন্ত্র পকেটে টাকা থাকলেই  হবে গো সে দেশবাসী।  হাঁটতে গিয়ে পায়ের রক্তে তুমি তাকে বরং বলো লক্ষীরচিহ্ন।  আমার দেশ আমার সংবিধান  লেখা আছে কোথাও বলতে পারো , এমন বিধান!  দুই পরিযায়ীদের দু-নিয়ম। কেউ পায় প্লেন , পুঁজিবাদের ক্ষমতায় ,  কেউ পায় ট্রেনের ধাক্কা , সরকারের অনুদান খাতায়।  আশায় আশায় কাটছে দিন ,  আশাতেই ঘাম ঝড়াচ্ছে।  বাড়িটা খুব বেশী দূরে নয়  মাত্র কয়েক শো মাইল ,  তাতে কি , ফিরতে হবে বাড়ি । ভোটের সময় হাজার বুলি মন্ত্রী মশাই দের । এখন ওরা লকডাউনে কাটাচ্ছেন দিন  #ফ‍্যামেলি_টাইম -এ । আরে মশাই ভয় কি আছি তো আমরা এ কষ্ট ঠিক চোখে দেখা যায় না  লাইবে এসে চলচ্ছে জ্ঞানের বচন ,  কেউ কেউ আবার কাঁদচ্ছেন। ভাগ‍্যিস ওদের স্মার্টফোন নেই  দাম আবার পনেরো হাজার । ওরা তবে ঠিক বুঝতো মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ যাইনি।  ওদের নিয়ে কাঁদচ্ছেন কেউ কেউ স‍্যোশাল মিডিয়ায়। ভোটার কার্ড , আধার কার্ড -কার্ডের আবার কতো রকম , ঠিক ...

পালাবদল- রুদ্র দেবনাথ

  উপরে রৌদ্রমেঘের অবাধ বিচরণ,  রিক্ত সে দুনিয়ায় শুভ্রনীলের স্তম্ভে সোনালী প্রলেপ, তপ্ত প্রহর মধ্যাহ্নের পানে ধাবমান।  অদৃষ্টপূর্ব বায়ু সীমান্ত পেরিয়ে  বিচিত্র নব দুনিয়ার আরম্ভ।  প্রাণের সঞ্চার মূলমন্ত্র  কিছু অনন্য তো কিছু সাধারণ,  সভ্য অসভ্যের সংমিশ্রণ।  সাধারণের বুদ্ধি বিশাল,বোঝা বড়ই দায়। শ্রেষ্ঠত্বের খ্যাতি বহু পূর্ব, এবার শ্রেষ্ঠতরের প্রত্যাশায় নিত্য নতুন আবিষ্কারে আর্য্যাবর্তকে হাতের মুঠোয় আনার অভিপ্রায়। অনন্যের ভিন্ন সংস্করণ, দূরদর্শী; অগ্রভাগে সাধারণের প্রাণ সঞ্চার মূলমন্ত্র। স্বার্থান্বেষী সাধারণের সীমাহীন অত্যাচার, সহিত অনন্য, ভূ-জগতে নিজ কর্মে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাধারণের ভাবনায় কিঞ্চিৎ মোটা চর্ম, অসহ্য লাঞ্ছনা স্বীকারে নিঃস্বার্থ বলির পাঠা প্রায় সময়ই। হটাৎ অজানা ঝড়, অদৃশ্য আক্রমনে দিশেহারা সংসার। থমকানো; ক্রমশ নিশ্চলের পানে ধাবিত। সাধারণের অসভ্য তো বায়ু সীমানার ওপার, যদিও সদা সর্বদা সচল। অসভ্যের নিরাপদ অভয়ারণ্য বায়ু সীমানার দাঁড় আজ,  সভ্য লুটিয়ে থাকে দু'পাশের পুনঃ মিলন হবার।

সাপ্তাহিক কবিতা আসর- কণ্ঠে অনামিকা চৌধুরী (রচনা - পিনাক প্রামানিক)

 

স্বজন- তুষারকান্তি রায়

  জোরে হাওয়া বইছে। ঘরে ঢুকে পড়ছে কালবৈশাখীর বাতাস। বৃষ্টিও শুরু হলো। কলি বুঝলো  মা গরম গরম চপ আর কফি নিয়ে ঘরে ঢুকছেন। তবু জানালা দিয়ে বাইরের দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। বেশ লাগছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর লকডাউন পার করে আনলক পর্যায় এর কয়েক ধাপ শেষ। অতিমারির প্রকোপ কমছে কই।  সেই থেকেই তো একটানা নিজের বাড়িতে। অনলাইনে কাজ।আর নিজের ঘরে। কতোদিন এভাবে থাকা হয়নি বাড়িতে - ঘরে। কলিদের বাড়িতে ঢোকার মুখে রাস্তায় একটা পলাশ গাছ আছে। লাইটপোষ্টের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে গাছটাকে। ক'দিন আগেও আগুন রঙের ফুলে ছেয়ে গিয়েছিলো।  আর এখন কেমন আপাদমস্তক ভিজে দাঁড়িয়ে  আছে। মাথাটা দুলছে মাঝে মাঝে। মা ডাকলেন,  ' আয়, কফি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।'  কলি সাড়া দিলো না। বাইরে বড় বড় বৃষ্টির দানা কালো রাস্তার উপর পড়ে কেমন বুদবুদ তৈরি করে ছড়িয়ে পড়ছে। কলি চোখ বন্ধ করে ভেজামাটির সোঁদা গন্ধ শ্বাস ভরে বুকে চালান করে দিতে থাকে। -  কি রে আয়।  খাবি তো!  কলি ঘুরে তাকায়। সারাদিন পর একটু আগেই ফিরেছে মেয়েটা। ফ্রেশ হয়ে হলুদ কাফতানে  ভারি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। এখন দেখে  কে বলবে ক'দিন ধরে...

প্রলম্বিত ছায়ার ভিড়ে- অপাংশু দেবনাথ

  আমার ভেতর থেকে লাফিয়ে পড়ে কামার্ত বাঘ আমার ভেতর থেকে ছুটে যাচ্ছে দূরন্ত প্রলাপ আমার ভেতর থেকে বেরিয়ে বৃক্ষ অরণ্য হয়। বহুদিনের শিশুটি  হারিয়ে গেছে অক্ষর-ভিড়ে ধারাপাত ভরে উঠে কবিদের প্রলম্বিত ছায়ায় একটিও এমন ছায়া পেলাম না যার তলে এসে পড়তে পারি আমার সন্ন্যাস,প্রকৃত কবিতাটি।  তোমারও ভেতরে এক মিছিল ছিলো জঙ্গী দুপুরে ভালোবাসার রঙীন ঘুড়ি ছিলো মেধার আকাশে। মিছিল ছুটে ঢেউএর পর ঢেউ তুলে, মিশে ভিড়ে। ভিড়ে সেই মুখগুলো কোথায়? বৃষ্টি হবে জেনেও ছাতাহীন বৃক্ষসব অরণ্যকে নিয়ে দাঁড়িয়েছে নদীভাঙন রেখায়।তারপর চোরা স্রোত বয় আমার ভেতর থেকে কুন্ডলী পাকিয়ে উঠে ঢেউ তার উপর দাঁড়িয়ে বৈঠাহীন নৌকো ভাসাও।

ড:সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন- অয়নদীপ দেবনাথ

  সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন যে ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে ছিলেন হচ্ছে। সকল শিক্ষককে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। একজন আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ [৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫] আজকের দিনে তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৯৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি(১৯৬২-৬৭) ছিলেন। একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক এই শান্ত মানুষটি ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন। জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তার ছাত্র জীবন এগিয়ে চলে। ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার বিষয়টি ছিল ‘বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত পূর্বকল্পনা’(The Ethics of the Vedanta and its Metaphysical Presuppositions)। তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না। দূর সম্পর্কের এক দাদার কাছ থেকে দর্শনের বই পান এবং তখনই ঠিক করেন তিনি দর্শন নিয়ে পড়বেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার জন্য তিনি "বেদান্ত দর্...

"কুঁড়ি"- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

  ঘড়িতে দেখি সেকেন্ডের কাঁটাটা তীব্র বেগে সময়ের ময়না তদন্তে ব্যস্ত! শহরটা চুপচাপ - অন্ধকার! পরকীয়া সোহাগ আর কোঁকড়ানো চাদরে " অনুভূতি " আপাদমস্তক আবৃত! সোশ্যাল মিডিয়া, দূরদর্শন প্যানেলে- ত্রিত্ব প্রেমে চতুর্দশী, ও চলেছে একা, অন্ধকার গলি! কুকুরের কোরাস আর ঝিঁঝির শোরগোলে খুঁজে নিতে আশ্রয়, অরক্ষিত পরিচিতি! কত? বলে খামচে ধরে, মাংস লোলুপ, পিশাচেরা! রক্তটা নীলচে হয়েছে, বুকে এখনো জ্বলন্ত সিগারেটের ক্ষত! আজ রাতে এটাই শেষ, ভেবে নেয় মনে মনে! -বনলতা, প্যার সে, বিজলি! বাবা "বেনু মা" বলে কত আদরে ডাকতো! অঙ্গনে আজ শশ্মান সম, শুধু ছায়ের ঢিপি, অশ্লীলতার বাঁধ ভেঙেছে, চোখ অশ্রুসিক্ত নদী! হটাৎ সে শুনতে পায়, মা বলে, কে ডাকে! শাড়ীর আঁচল আলোথালো, উন্মুক্ত অগ্রে, উগ্রতা ফুটে ওঠে! জীবনে আছে, তিন বছরের, ছোট্ট একটা "কুঁড়ি "! নোটে গাছটি মুড়োলে মুড়োক, বেনু তো হারতে শেখেনি! "বাবু কটা বাজে?"- জিজ্ঞেস করে উত্তরের আশায়, শিফট- শেষ, আজকের মতো! "আমার কুঁড়িমা টা হয়তো, কাঁদতে থাকবে, যদি আমায় দেখতে না পায়!" বোতলটা ড্রেনেছুড়ে, বাবু ফিরে যাবে, উত্তর না দিয়েই, কিন্তু আজ সবেই উল্...