কৈশর অতিক্রম করে যৌবনের পথে পা বাড়ানো কিছু কিছু বন্ধু | বয়সটা বড় বেশী আবেগপ্রবণ , তাদের অনেক ভাবনা ইচ্ছা , অনেক স্বপ্ন কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় আর কিছু বাস্তবে রুপ পায় | তেমনি 'আলোকপাত ' কিছু বন্ধুর স্বপ্ন , ভাবনা , আশা , প্রচেষ্টা | বন্ধুদের মধ্যে আড্ডার ছলে প্রস্তাব ওঠে কিছু একটা করতে হবে যা মিলিয়ে দেবে সমাজ ও সাহিত্যকে | প্রস্তাবটা আড্ডাছলে দেওয়া হলেও ভাবিয়েছিল সব বন্ধুকেই | সাল টা ২০১৩ - ৭ই মে , বাংলা ২৫শে বৈশাখ | রবীন্দ্রজয়ন্তির ছোটো - খাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ' আলোকপাত ' | সেই ' আলোকপাতের ' পথ চলা শুরু | কিন্তু দীর্ঘ আড়াই বছর পর পথ চলার মাঝে কিছু কিছু বন্ধু দূরে চলে যায় পড়াশোনার জন্য | আবার নতুন কিছু বন্ধু ও আলোকপাতকে আপন করে নিয়েছে | এখন ২০১৫ সালে পূজোর ছুটিতে সব বন্ধু একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করি একটা পত্রিকা প্রকাশনার | সেই মতো সবাই লেখা লিখি শুরু করি , এবং ঠিক করা হয় পত্রিকাটির নাম হবে ' আলোকপাত ...
বহুদিন আগের কথা। আমি তখন অবিভক্ত বিহারের একটি অঞ্চলে কারখানার সুপারভাইজার।বেশিরভাগকর্মচারী অবাঙালী হলেও তাদের মধ্যে জনা পাঁচেক বাঙালীও ছিল। এদের মধ্যে আবার প্রিয়তোষ ছিল ম্যানেজার। ঐ যা হয়, ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। তাছাড়া ও ছিল আমার মতই গ্রাজুয়েট। সত্যি কথা বলতে কি সারাজীবনে প্রিয়র মত বন্ধু আর কখনো পাইনি। আমি শুরুতেই মধুপুরের কাছে ঝিল্লি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। বাড়িওয়ালা সুখান রাম একদিন বলেছিল,"একটা কথা বলি বাঙালি বাবু, কিছু মনে করবেন না, এখানে আপনি একা থাকেন, কোনো বন্ধু জুটিয়ে লিন, বাড়িভাড়া আধা হয়ে যাবে"। আমারও কথাটা মনে ধরল। পরদিন কাজের ফাঁকে চুপিচুপি প্রিয়তোষ কে কথাটা বলতেই ও যেন হাতে চাঁদ পেল। খুবই খুশি হয়ে বলল,"এ তো খুবই ভালো প্রস্তাব, লোভনীয় তাতে সন্দেহ নেই, আমি যেখানে এখন থাকি তাকে ভদ্র পাড়া বলা চলে না,বুঝলে ভায়া কিছু চাষাভুসো খোট্টাদের বাস সেখানে। তারপর রাত্রিবেলা মাতাল হয়ে যা শুরু করে তাতে ঘুম তো দূরের কথা টেকা দায় হয়ে পড়ে"। আমি বাড়ি বদলানোর কথা বলতেই ও বললো,আজকে রবিবার, খুবই ভালো সময়। ওইদিন ছুটি আছে ফ...