সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অন্য পুজো - পিনাক

  ১ অনেকদিন ধরেই ছেলেটা বায়না ধরেছে এবার পূজোয় একটা নতুন জিন্সের প্যান্টের জন্য। বছরদুয়েক আগে ওর বাবা অন্ধ্রে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিলো, তারপর থেকে আর ফেরেনি। এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজখবরও পাইনি সে।পাঁচবাড়ি দুইবেলা কাজ করে কোনোমতে সংসারটা টেনেটুনে চলে যায় আর মিডডে মিলের দয়ায় ছেলের একবেলা পেটটা কোনোরকমে ভরে যায় রোজ। অনেক ইতস্তত করে আজ বড়বাড়ির বৌ এর কাছে পাঁচশ টাকা চেয়েই বসেছিল ফুলমনি ছেলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। অনেকদিনের বিশ্বস্ত লোক, দু'বছরে একদিনও কামাই করেনি:বড়বাড়ির বৌ তাই টাকার কথাতে একবারের বেশী দুবার ভাবেনি।  আজ বিকেলে মনটা বেশ খুশি ছিল ফুলমনির। টুসিদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ি না ফিরে সোজা চলে গিয়েছিল বড়রাস্তার ধারে কাঁচের দরজা দেওয়া জামাকাপড়ের দোকানটার দিকে। রাস্তায় গাড়ি বেশী ছিলো না তখন; দোনোমোনো করে রাস্তাটা পেরোতে গিয়েছিল সে। বকুলতলার দিক থেকে বিকট শব্দ করে হঠাৎ একটা গাড়ি চলে আসে দানবের মতো! তারপর... মায়ের ডাকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে যায় পল্লবের! ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে সে বিছানায়... ২ ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ধরে শ্যমলকে বাইক চালিয়ে রোজই ফিরতে হয় অফিস থেকে। আজ অফিস থেকে বেড়িয়ে অফিসের ...

নিরুদ্দেশ আত্মা- উমা সরকার

  শরতে র সাথে দেখা হবে না  বসন্ত নিরুদ্দেশ।  আবেগ ভেসে গেছে বর্ষায়।  গ্রীষ্মের তপ্ততা পুরিয়ে নিয়েছে হৃদয়। পরন্ত শীতের বিকেলে স্বপ্ন রা স্বাধীন।  আবেগ শূন্য মন জীবন্ত।  আশা বোধহয় একেবারেই নির্লজ্জ। সে বেঁচে থাকে। সে  বেঁচে থাকার লড়াই করে।  সে বেঁচে থাকার অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত, তবুও সে বেঁচে থাকে। স্বযত্নে আগলে রাখবো তোমার মিথ্যে গুলো কে। তাদের দানা দেবো, আলো দেবো। ঘৃনার জন্ম হয় না। ফিরে পাবার আশা  আজও  আকাশ ছোঁয়া নীল। বসন্ত নিরুদ্দেশ। নিরুদ্দেশ আত্মা।

ঝড়ের আড়ালে- দোলা সাহা

  অসহায় স্তব্ধতায় বুক দুরু দুরু; ক্ষনিক আশা যাহা ছিল মনে, ভাঙিল তা প্রবল করাঘাতে। বেদনার গ্লানি, আর শোকাতুর মন বাধিল ক্ষনিক আশা একটু স্নেহের পরশ জরাহীন ভারতবর্ষ মুক্ত করো সবে হারিয়ে যেতে দেবনা আমরা গভীর অন্ধকারে শত শত ক্ষত ভরিয়ে তুলব- গভীর মমতায় ভরা স্নেহের প্রলেপে।

আজকের কবিতা কোলাজ- সুচরিতা ব্যানার্জী ও বন্যা ব্যানার্জী

ওদেরো প্রাণ আছে - সুচরিতা ব্যানার্জী পাথরে মেরো না ঘা যেন ওদেরো প্রাণ আছে , শাজাহানের তাজমহলের অন্তরালে ওদেরো কিছু দাবি আছে। ওরা চায় না কোনো রাজপ্রাসাদ কিংবা ভাবে না আকাশকুসুম তাই বলে কি ওরা চিরটাকাল মেনে যাবে তোমার হুকুম ?   কিছুদিন অবসরে- বন্যা ব্যানার্জী   ফিরতেই দেখি বাড়ির আনাচে কানাচে   ধুলোর পরত।গোলাপ চারায় চাপা অভিমান । এই সুযোগে এক বটের ডেঁপো মাথা ছাদের ফাটলে বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে । পুবের জানলা টা খুলে দি।ঘর হেসে ওঠে । তাদের জমানো কথায় দিন ভরে যায় । আমি শিকড়ের সন্ধান ‌পাই। ।  

প্রতীক্ষা- পাপড়ি সেনগুপ্ত

আর ক'টা দিন পরেই চলে যাবে ভাদর।  আকাশটাতে থাকবে না আর কালো মেঘের চাদর। আশ্বিন এলেই বর্ষা রানির বিদায় নেওয়ার পালা। আসবে শরৎ সাজিয়ে নিয়ে শিউলি ফুলের ডালা। নীল আকাশে হাসবে রোদ ভাসবে মেঘের ভেলা। আগমনীর বাজবে সুর প্রাণে খুশির মেলা। শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসে শুনবো মায়ের চরণ ধ্বনি। শিউলি ঝরা শারদ প্রাতে আসবে মা জগৎজননী। আসায় আসায় প্রহর গুনি আগমনীর বার্তা শুনি। গড়ছে কুমোর খড় মাটিতে মায়ের আমার মূর্তি খানি। নদীর পাড়ে মাঠের ধারে ফুটবে কত কাশ ফুল। তারাও যে মায়ের পরশ পেতে অপেক্ষাতে বড়ই ব্যাকুল। দেরি যে আর সয় না মাগো আসবে কবে বলো নাগো? প্রতিক্ষাতে আছি বসে মাগো তুমি এবার জাগো।

Retail Industry, After Pandemic Situation- Subham & Arka

In India Retail sector is mainly divided into three sub sectors, namely Organized Retail, Unorganized Retail and E-Commerce. According to IBEF, from the beginning of this century, organized sector is growing rapidly; it   reached US$ 950 billion in 2018 at CAGR of 13 per cent and is expected to reach US$ 1.1 trillion by 2020. Online retail sales were forecast to grow 31 per cent y-o-y to reach US$ 32.70 billion in 2018. Revenue generated from online retail is projected to reach US$ 60 billion by 2020. Moreover the Indian E-commerce market is expected to grow to US$ 200 billion by 2026 from US$ 38.5 billion as of 2017. So, in a very good situation for retail industry the economy is interrupted by Covid-19 Pandemic. We have tried to forecast future customer traffic in retail industry across these three sub- sectors. We have conducted study on 100 people of different ages, segments and geographical location. Nowadays, people are very much concerned about health security in shops and a...

কাগজের নৌকো- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

নূপুর চোখের জল মুছতে মুছতে ছুটে আসে -তার নিস্তব্ধতার সর্বশ্রেষ্ঠ আস্তানায় | অনেকটা পথ এসেছে সে - পিছনে ফিরে তাকায়নি একবারেও! পায়ের একটা তোড়া নরম ঘাসের আদলে কোথায় যেন ছিঁড়ে গেছে! ভালো করে দেখে নেয়- "ইসস অনেকটাই কেটেছে!"- হাত বুলিয়ে নেয় আলতো করে, ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে | অন্য হাতে "কাগজের নৌকো" | উঠে দাঁড়িয়ে দেখে নেয় ভালোকরে চারিদিকটা - শুধু নির্জনতা!-আর নদীর জলটা ঝিকমিক করছে- মৃদুমন্দ বাতাসে, গাছের পাতাগুলো দোলতে দোলতে লুকোচুরি খেলছে -মেঘের বুক চিরে আসা রোদের রোশনার সাথে! চোখ বন্ধ করে সে- বুক ভরে নেয় একটা দীর্ঘশ্বাস! উপভোগ করে এই নির্জনতা - তার এই বারো বৎসর বয়সেই অগুন্তি  তিক্ত অভিজ্ঞতা! মনের দেয়ালে অনুরণিত হয় শুধুই বাবার নেশাতুর গর্জন আর -মায়ের চিৎকার করে ভাঙা ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ার শব্দ আর অবচেতন দেহ টা! আর ভাবতে পারেনা সে! চোখের পর্দা গরম হয়ে আসে! তার মনের ছোট্ট প্রজাপতির- পাখা গুলো কে যেন আস্তে আস্তে ছিঁড়ে ফেলছে!- পিষে দিচ্ছে তার প্রিয় সব থেকে প্রিয় -'ঝুমঝুমি' নামে পুতুলটার মাথাটা মাটির সঙ্গে! হৃদপিন্ডটা পাঁজরার খাঁচাতে ধড়াস ধড়াস করতে করতে হঠাৎ যেন দরজা খ...

সেই ছেলেটা- সৌমী আচার্য্য

 পা মুড়ে ছেলেটা আঁকে ঝাঁকড়া মাথায় ওর পায়ের পাতায় সাফল‍্য রোদ্দুর হয়ে খেলে ছেলেটার আলতো দাড়ি বেভুল চোখ সন্ন্যাসী হবার অহংকার ঠোঁটে, চিরস্হায়ী নরম পায়ে হাত রাখি গোপনে,ইচ্ছে মতো ডুবতে চাইলে এমন পদ্ম সরোবরই তো চাই।  খাদির চাদর গায়ে জড়ালে কোপাই জুড়ে শঙ্খ লাগে... কোন মেয়ে ওকে ছেড়ে গেছে? তাকে সই পাতাই। এই ছেলেকে দূরে রাখলেই ভাবসমুদ্র একার কাছে এলেই সৌজন‍্য ঝুলিয়ে রাখি মুখে হিসেব কষে কষে শাড়ির আঁচল টানি ভদ্রতার বাস্তবে চাঁদ ডাকলে চোখ বন্ধ করে দেখি উদাস মুখ জাপটে রাখি অক্ষর দিয়ে আঁচড়ে দিই মাথা অপূর্ণ সাধের মতো টাটকা রেখে বলি এই ছেলেটা আমার সোহাগ মাখবি? অন্ধকার দিগন্তে তারা খসে...

সাপ্তাহিক কবিতা আসর- কণ্ঠে তাপসী সিংহ ( রচনা - অংশুমান কর)

 

হ্যাপি হানিমুন- অয়নদীপ দেবনাথ

 ছোটো থেকেই ভোর ভোর উঠে পড়া অভ‍্যেস দ্বৈপায়নের। কলেজ লাইফে মেসে থাকাকালীন একটু দেরি হতো উঠতে, তবে তারপর আবার পুরোনো এই অভ‍্যাসটা ফিরে এসেছে ওর।  উজানী এখনও ঘুমোচ্ছে,কাল রাতে জ্বরটা বাড়াবাড়ি রকমের হয়েছিল।দ্বৈপায়নও ঘুমোয়নি রাতে। সারা রাত উজানীর মাথায় জলপট্টি দিয়ে গেছে,আর থার্মোমিটার দিয়ে দেখে গেছে,পারদ নামলো কিনা!চারটে নাগাদ একটু শুয়ে আবার ছটায় উঠে ফ্রেশ হয়ে দুকাপ কফি নিয়ে এল ওদের শোয়ার ঘরে। কফির কাপ দুটো বিছানার পাশের ছোট্ট টেবিলটার ওপর রাখলো,তারপর চোখ গেল উজানীর স্নিগ্ধ মুখটার ওপর।যেন একটা বাচ্চা মেয়ে খুব নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে, নিরাপদ আশ্রয়ে। উজানীর ঘুমটা ভাঙলো দ্বৈপায়নের হাতের স্পর্শে। কপালে আলতো করে হাত দিয়েছে ও। আস্তে আস্তে চোখ খোলে উজানী।স্মিত হেসে তাকালো দ্বৈপায়নের দিকে। দ্বৈপায়নের মুখটা দেখলে যেন জাগতিক সব শান্তি খুঁজে পায় উজানী। উজানী আর দ্বৈপায়নের বিয়ে হয়েছে মাত্র চার মাস। এরমধ্যেই উজানী ওর বাবার ছায়ামুর্তি দেখতে পায় দ্বৈপায়নের মধ্যে।ওর হাতের ছোঁয়ায়,মুখের ছোট্ট হাসিতে যেন এক অনন্য আনন্দ খুঁজে পায়।  চোখ খুলতেই দ্বৈপায়ন জিঞ্জেস করল,"এখন...

অমৃত- অর্ণব

 অমৃত বলতে বুঝি  বিষাক্ত প্রেম আর তুমি। বিষাক্ত প্রেম তাই  সুধা ভেবে পান করি ;                 জ্বালা করে বুক। জানি মরতে হবে একদিন ...                            হঠাত্। আমার হলুদ চখে পড়ে তোমার নীল হাসির ছটা। প্রেমের আগুনেই একদিন  পুড়ে ছারখার হবে প্রেম। তবে কি প্রেম করবোনা তোমায়.. প্রেমের ভস্ম পড়ে থাকুক মনে, জ্বালা অমর হয়ে  উঠুক উর্দ্বে.. সেই জ্বালাতেই অমর হয়ে                            থাকবো আমি।

বিস্মৃত বর্ষা- রুদ্র দেবনাথ

 আজ এ শ্রাবণের বর্ষায়, মন চায় এমনিতেই তোমায় দিতে।  গল্প হোক বা উপন্যাস, হোক না ছোট্ট এক লাইন, ক্ষতি কি যদি-বা লিখি ছন্দ-পঙক্তি,  তবু এ মন শুধুই তোমায় নিয়ে লিখতে চায়। এখন প্লট? তব বৃষ্টি বিলাস করব?  কিন্তু কার সাথে?  বিলাসিনী-ই তো সাথে নেই। বিজি কি না.....  এখন উপায়? নিছকই কল্পসাহিত্য রচনা করব !?  বেশ..... তবে তাই হোক।  গত বরষার স্মৃতি আউড়ে ধরি! না থাক। একলা বিলাসে বৃষ্টি মাঝে তোমা' অস্তিত্ব কল্পনা করি। নতুন শ্রাবণে অস্বস্তি প্রেম বয় কি না.. ঝরঝর বৃষ্টি ; অসময়ে মেঘের চাপাকান্নায় মনোজ'দের ঢেউটিন গড়িয়ে মুক্তাঙ্গনে পশ্চিমা আলোক ঝলকানিতে কচি কচু'র মুক্তাঙ্গন আজ শিহরিত।  দক্ষিণা বাতাসে তোমার কদমতলীর মেঠো পথে বৃষ্টি মুড়িয়ে পাপড়ি মিছিল,  উল্লসিত আকাশে রামধনুর পেখম ।  নীচে পুবঘরে তোমারি রবি-নৃত্যের আসরে চা-চুমুকে'র সাথে পরম এ দৃশ্যের প্রেমে হয়ত  বনলতা'ও ভ্যাবাচেকা খেয়ে যেত। আর তুমি তোহ্ নিতান্তই সাধারণ ।  হটাৎ দমকা হাওয়া,  না জানি কোন তাক থেকে গড়ালো! ঘুঙর; ভোরের আলো সঙ্গে নিয়ে। ভোরের আলো! যার শিরোনামে প্রথমবার তুমি এসেছিলো ।।...

বীথিকাজান- চিত্রলেখা চক্রবর্তী

  বীথিকার সকাল থেকে শরীরটা ভীষণ ম্যাজ ম্যাজ করছে। মনটাও ভালো নেই। সকাল থেকে সে কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। রোজনামচার গান করা আর লেখাপড়া ছাড়া তার জীবনে কীবা করার আছে । বন্ধু উজান ও আজ তার বাড়িতে আসেনি। সে শহর ছেড়েছে আজ প্রায় দেড় মাস হল। কাজের আশায় সে শহরে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেরকম করেই হোক একটা চাকরি করতেই হবে । দিনে দুবার ওই চার দেওয়ালের যন্ত্রতে শুধুমাত্র কথা হয় । বীথিকা  এসব ভাবছে আর মনটা খারাপ হচ্ছে। কাছে থাকার অনুভূতি টা বীথিকা জানতো। দূরে থাকার অনুভূতিটা হয়তো বীথিকার বোঝার বাইরে । এইসব ভাবতে ভাবতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ এর দিকে চোখ তুলল । যে প্রকান্ড গাছটা মাথা আকাশের দিকে উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে  সেই গাছের ফাঁকে ফাঁকে হলুদ হলুদ কিছু ফুল ফুটে আছে বীথিকা  দেখলো । না ভুলে যায় নি বীথিকাকে । বীথিকার জন্য সব কটা গালে নিজেকে মেলে ধরেছে। বীথিকার ঠোঁটে হালকা করে প্রস্ফুটিত হল একটি হাসি। ঘরের মধ্যে থেকে ক্রিং ক্রিং শব্দ ভাসছে শুনে ভেতরে চলে গেল। হাতে তুলেই দেখতে পেল স্ক্রিনে উজান এর নাম । বীথিকা ফোন তুলতেই উজান বলল চাকরিটা আমার হয়ে গেছে বুঝলে ।বীথিকা ফোনটা হাত...

বাবা- কোয়েনা দাস

 কষ্টটাকে চেপে রেখে, হাসি ঠোঁটের কোণে  আদরগুলো চাপা থাকে , তাঁর ধমকই সবাই শোনে  মাথার উপর বটগাছ হয়ে দেয় আমাদের ছায়া  কঠোর মুখের গভীরেও তাঁর হাসিতে বড় মায়া | চাওয়া - পাওয়ার সব আবদার তাঁর কাছে দেয় ধরা  ছেলেবেলায় রোজ শোনাতেন ঘুম-পাড়ানি ছড়া , মেয়ে একদিন বড় হবে , যাবে শশুরবাড়ি  শতকষ্টেও বিদায় সে দেয় , মুখ করেনা হাঁড়ি  কাজের চাপে মাঝে মাঝে সময় ও পায় না  বাড়ির কথা মনে পড়ে , তবু কথা হয়না | সকাল বেলা বেরিয়ে সে যায় , কাজ থেকে ফেরে রাতে  তবু কন্যার আবদার সবই থাকে তাহার হাতে , মেয়ের ভালো রেজাল্ট হলে যার গর্বে ভরে বুক  মাঝে মাঝেই ঝিলিক দেয় উজ্জ্বল ওই মুখ  নিজের জন্য জিনিস কিনতে তাঁর ভীষণ অনীহা  সেই টাকাতে কিনবে মেয়ের বিয়ের জড়োয়া | কঠোর খোসার ভিতরে লোকানো নরম একটা মন  লক্ষ্য শুধু একটাই তাঁর - আমাদের আশাপূরণ , ক্লান্ত শরীর , টলমলে পা , তবু করতেই হবে রোজগার  টাকা ছাড়া চলবেনা দিন , তাঁর কাঁধেই গোটা সংসার  পারিপার্শ্বিক চাপেই বোধহয় তাঁর বাইরেটা হয় শক্ত  সবার মুখে হাসি ফোটাতে জল হয়ে যায় রক্ত | কাজের ফাঁকে যে মানুষটা একটু সময় প...

"Appearances Can be Deceptive"- Moumita Akuria

  'Appearances can be deceptive'. We all have heard this proverb time and again. Some of the similar proverbs are 'All that glitters are not gold' or maybe ' Don't judge a book by its cover' and many more. People have realized these proverbs through various perspectives of their lives. But still, at this point, I have just come across another such perspective. A subconscious mind is very powerful. It's even active when the conscious mind is sleeping. You're seeing the boy in front of you partying, working, travelling, joking, laughing and everything else with a smile spread across his face. Now and then you see his photos and posts on social media with several hashtags and emoji, and you're sitting back in your room wondering why the hell your life is not gleeful as his! Exotic food and delicacies placed on fancy china, the faces lit up in happiness, is what you see in the posts. But who knows what darkness is hidden behind those lit up faces! ...

অডোনিল- প্রত্যুষ প্রভ কিস্কু

 কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ - জানিনা! ও আসবেনা বলেই! কয়েক দিন ধরেই মনটা খারাপ - কেন! ওই- এলো বলে! দুঃখ নিয়ে সুখ মেপেছি  - ঘরে কদ্দিন পর ভালো  মন্দ! এখন সুখে- দুঃখ চাই- অর্থ-পূর্ণ  শবশূন্যে! অভিমান করে খায়নি ছেলে - হাজার গুনের যন্ত্র দাও সারাদিন খাটে জীর্ণ-শীর্ণ, শান্তি পাবে ও মানুষ হলে! রাস্তা ঘাটের বিরিয়ানি তে লেগ -পিসটা! মশাই দেখে দিও, এদিকে তোমার, গৃহ বধূর আদর করে- রান্না করা বাসমতি চালের- কষ্ট বোঝো! স্বার্থ -নিজের,না  স্বার্থ -পরের? আমিও আসি রাত দুপুরে, জানান দিও, কেউ না জানে! স্বামীর পকেট রক্ত ঘামে, ওরে পাগলা, ভুল ভেবেছিস, রমণীযে তোর অন লাইনে, এই তো সমাজ, এইতো খবর, দিন-দুপুর আর রাত-বিরিতে, খুড়োর কলে, তেল ঢালো আর চলতে থাকো অন্ধ হয়ে, শিশুরা আজ উলঙ্গ, তবুও উলঙ্গতার সীমা কোথায়? টেবিল ভরা, বন্দী ফাইল! বাবা মায়ের অশ্রু-গাথায় | কবি আমার উদাসী কেন, ভাবছেন "আর দেখব কত? " ইনস্টলমেন্টে জীবাণু কীট! অর্থনীতির গ্রেডতো জিরো! উপন্যাসের দ্বন্দ্ব কোথায়, হীন-চরিত্রের হীনমন্যতায়! স্লোগান জোড়া ধাপার মাঠের- "অডোনিলে" গন্ধ কি যায়! সব কিছুই আজ উলোট-পালট চাঁদের পাহাড় - বুড়ো, বুন্যিপ,...

রাত- সুচরিতা ব্যানার্জী

  রাত, তুমি আমার বন্ধু হবে? আমি তোমার ছবি আঁকব। আমার অনুভূতি দিয়ে তোমায় রাঙিয়ে তুলব। তোমার স্নিগ্ধ শান্তি আমায় মনে করিয়ে দেয় আমার ফেলে আসা শৈশব। কিন্তু হায়! সেদিন আজ কো়থায় রাত, তুমি কি বিচিত্র! তুমি কাউকে দেখাও জীবনের স্বপ্ন, আবার কারো মনে এনে দাও আতঙ্ক। তোমার এ কি নিষ্ঠুরতা! তুমি কি জান, খোলা আকাশের নীচে কত শিশু শুধু তোমার ভরসায় আশার আলো দেখে? কিন্তু তাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় একটা গুলির শব্দে। তোমার সৌন্দর্যকে যারা তাদের সার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার করতে চায় তুমি কি তাদের নীরবে সহ্য করবে? জান রাত, আমি তোমার মধ্যে আমাকে দেখতে পাই। ধূসর মরুভূমির মধ্যে আমি মরীচিকার মত হাৎড়ে বেড়াই একটা নদী। কিন্তু মাইলের পর মাইল শুধু দেখি স্থুল পলির স্তুপ। কিন্তু তার পরেও আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। তোমাকে যে আমার অনেক কথা বলার আছে। একদিন ঘুমের মধ্যে আমি শুনলাম এক কন্ঠ। যে আমায় বলল, “এই তো আমি, তোমার বন্ধু”। সে আরো বলল, “আমি আর এখন রাত নই। আমার নাম নতুন ভোরের রবি।

সাপ্তাহিক কবিতা আসর- কণ্ঠে পুনম গোস্বামী সাহা ( রচনা - রুমা চক্রবর্তী বাগচী)

 

হিসেব- সৌমী আচার্য্য

  খালি পায়ে পেরিয়ে এসেছি সব ঋণ নিঃস্ব,রিক্ত হাভাতে শরীর টেনে টেনে মুখ ভাঁজে জড়িয়ে রেখেছি ব‍্যর্থতার দলিল খুঁজে যাও যদি কিছু স্বপ্ন খুঁজে পাও তবু ঘোলাটে চোখে বাসি ইচ্ছের নোলা চেটে তুলি ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখি বিশ্বাস, জমি,জিরেৎ নতুন বৌ,আট বছরের জলে ঢোবা ছেলে আর পারিবারিক নবান্ন উৎসব সব ফেরৎ হবে হবেই একদিন

আচানকামারের পায়ে পায়ে- সৌরভ সাউ

 ইদানিং নাকি আচানকামারে হাতি দেখা যাচ্ছে; কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, অনেকদিন ধরেই। তবে, এই বর্ষার যাওয়ার উপায় নেই। ঠিক হলো, অমরকন্টক যাওয়া হবে। সেখান থেকে কিছু ফিকির করে জঙ্গলে ঢোকা যেতে পারে আলগোছে। তবে বিলাসপুর থেকে আচানকামারের ভেতর দিয়ে গাড়ী করে যাওয়া হবে না। তাছাড়া রাস্তা খারাপ ও, এমনকি, কোমর খুলে যেতেও পারে! বরঞ্চ বিলাসপুর থেকে পেন্দ্রা রোড পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে, ট্রেন থেকে নেমে পেন্দ্রারোড থেকে অমরকন্টক, গাড়িতে যাওয়া হলে সে অভিজ্ঞতা, রোমাঞ্চকর হবে ঢের বেশি। বিলাসপুর থেকে পেন্দ্রা রোড পর্যন্ত রেলপথ কী অপরূপ সুন্দর,, ট্রেনের মধ্যে থেকে! অনেকের মুখেই শুনেছি, কিন্তু, কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি।  সায়ন বললো, "এই বর্ষায় এই পথে ঘুরে এলে কেমন হয়...?"  কথাটা সকলের ই মনে ধরলো। সারাদিন কত কি কল্পনার জাল বোনা ক্ষান্ত দিয়ে অনন্ত দের বাড়ি সন্ধ্যেবেলা আড্ডা জমালাম। বাইরে অকাতরে ঝড়ছে বর্ষার বৃষ্টি। ফোন, ল্যাপটপে জোড়ায় জোড়ায় চোখ নিবদ্ধ। দেখা হচ্ছে অনলাইনে কোন ট্রেনে টিকিট পাওয়া যায়। অনিমেষ বলল, "সবচেয়ে ভালো হয় যদি বোম্বে মেলে যাই...। সকাল সকাল বিলাসপুর নামিয়ে দেবে।...

হলুদ ট্যাক্সি- দেবজিৎ গোস্বামী

 বিকেল বেলার সময়ে একটা হলুদ ট্যাক্সি দাঁড়ালো ওই পুরোনো মল্লিক বাড়ির সামনে। বেশ হতবাক হলাম কারন আমি জানতাম ও বাড়ির বাবুরা পূজোর সময় ছাড়া আসেন না। তার আগে তাদের হঠাৎ এভাবে অকাল বোধন এ বেশ হতবাক হয়ে,দৃশ্যটা নিজের বাড়ির ছাদ থেকে দেখছিলুম। দেখেছেন নিজের পরিচয়ই দেওয়া হয়নি আমার নাম অপেন্দ্র দত্ত ওরফে অপু।  আমি এখন বি.এ থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। এই এতোদিনেও কোনো সঙ্গী জোটেনি আমার।  ট্যাক্সি থেকে নেমে এলো হালকা গোলাপি চুড়িদার পড়া একটি বছর উনিশের মেয়ে, পাড়ার লোকের চোখ তার দিকেই,সে আট চোখে চারপাশ দেখে ভেতরে ঢুকে গেল। রাতের বেলা খাওয়ার সময় মা বললো বাবা কে উদ্দেশ্যে করে,  মা~জানো? আজ তোমার বন্ধু অজিত এর মেয়ে অনুপমা এসেছে। বা~ কোন অজিত? মল্লিক বাড়ির?  মা~ হ্যাঁ গো।  বা~ তা পূজোর তো এখনও একমাস এতো তাড়াতাড়ি এলো কেন?  মা~ শুনলাম কীসব কাজ করবে বলে এসেছে।  বা~ ও আচ্ছা সেই দিনকার রাতটা অন্যভাবেই কেটে গেল।  একদিন আমার আর ওর হঠাৎ চোখাচোখি হয়ে গেল ছাদে।  সে বেশ লাজুক ভাবেই মুখ ঘুড়িয়ে নিলো। সেই লাজুক ভাবেই আমি তার ওপর আকৃষ্ট হলাম। এভাবে আ...

আজকের কবিতা কোলাজ- পারমিতা চক্রবর্ত্তী গোস্বামী ও পিয়াষা মহলদার

অন্ধকারের চোখ - পারমিতা চক্রবর্ত্তী গোস্বামী মাঝ রাতের কালো ঠেলে ঘুম ভাঙ্গলো। একটা কিছু খুঁজছিলাম,স্বপ্নেই মনে হলো। ঘরটা খালি আমার, বিছানায় বই এলোমেলো। যতোটা অগোছালো হলে ঠিক,বেকারত্বের কাছে হার মেনে নেয় শিক্ষা,ততটাই বিক্ষিপ্ত মনের কোন গুলো। জল খেয়ে বসে আছি। অন্ধকার যেন চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে আষাঢ়ের বৃষ্টি স্নাত আমার অনাবৃত চিবুক। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো চেনা মানুষের নামে। নিকষ কালো অন্ধকারের চোখকে উপেক্ষা করে কথা চলতে থাকলো।ভোর হলো ভালোবাসায়...! বিশ্ব দেখো বন্দী হয়েছে -  পিয়াষা মহলদার জীবন আজ করাল মৃত্যুর গ্রাসে। বিষাক্ত বায়ুতে শুধুই মারণ ভাইরাস এ যেন আমাদের ভয়ের রাজ্যে বাস। জীবন চক্র থেমে গেছে রোগের প্রকোপে বন্দী হয়ে আছি যেন অজানা সন্তাপে। মিলবে কবে এর থেকে মুক্তির অবকাশ বিশ্ববাসী সেই আশায় ফেলছে দীর্ঘশ্বাস।

কষ্ট- বন্যা ব্যানার্জী

 ডাক্তার এসে সার্টিফিকেট দিলেন -স্ট্রোক।আধঘন্টা আগেই....।বেশ লাগল শুনতে।এতদিন অন্য করো শুনেছি,আজ নিজের।বাড়িতে কান্নার রোল উঠলো।পাড়া প্রতিবেশী চমকালো।কেউ বললো "ইশ সবে ষাট পেরিয়েছে।ভাগ্গি মেয়ের বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল!" আবার কেউ বলে উঠলো " আরে আজ ই তো সকালে বাজারে দেখা হলো!" এসব কথা চলতেই থাকবে।চলতি ফিরতি লোকটা হঠাৎ এমন টসকে গেলে হায় হায় তো করবেই সবাই।              আমার মেজাজ ফুরফুরে।এতোদিনে সংসারের জোয়াল থেকে মুক্তি।কাকভোরে উঠে মর্ণিং ওয়াক যাওয়া নেই,লাফিং ক্লাবে কষ্ট করে হাসা নেই।বাজারের ব্যাগ হাতে পেনশনের টাকার হিসেব মাথায় রেখে রূপোলী ইলিশের মায়া ত্যাগ নেই।সুগার প্রেসারের গন্ডি নেই।বয়েস বড় বেয়াড়া রসিকতা জুড়েছিল জীবন থেকে মিষ্টি সরিয়ে নিয়ে।ঐ কালো তেঁতো চা গলদকরণ করাও একটা কষ্টের কাজ ছিল।চারিদিকে যে অবিচার অন্যায় নির্বিবাদে হয়ে চলেছে তার প্রতিবাদ করতে চেয়েও না পারার যে যন্ত্রনা তা যে কতো ভয়ঙ্কর! সত্যি আমার মত মেনিমুখো মানুষের বেঁচে থাকার  কোন কারণই থাকা উচিত নয়। নিয়ম কানুন সব সারা।আরে ছেলেটা আবার কান্না জুড়লো কেন! ওরে ব্যা...

উদ্বিগ্ন-পাপড়ি সেনগুপ্ত

ভাল্লাগেনা এই একঘেয়ে জীবন থাকো ঘরে নইলে মরণ। যেও না তুমি কারো বাড়ি , হয়েছে যেন সবার আড়ি। ঘরে বসেই দিন কাটাও যা কিছু শখ ঘরেই মেটাও। এভাবে কি আর জীবন চলে , পিষছে মানুষ জাঁতা কলে। ফোনেই সব কাজ সারো , সামনে তুমি যেও না কারো। কিভাবে যে কাটছে দিন , অবস্থা বড়ই সঙ্গীন ! অসুখ বিসুখ ঘরে ঘরে , বাঁচবে মানুষ কেমন করে ? চারি দিকে শুধু জ্বর জারি প্রাণ কাড়ছে মহামারী ! কেবল দুশ্চিন্তায় দিন কাটে , শখ সাধ সব উঠল লাটে। কেউ না খেতে পেয়ে দিন কাটায় আর বাঁচার কোনো নেই উপায়। কত প্রিয় জনের যাচ্ছে প্রাণ পথ দেখাও তুমি হে ভগবান। ভাবলে বড়ই হতাশ লাগে ! ছিলাম বেশ দিব্যি আগে।